শনিবার 19 জুলাই 2025

lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-19T11:01:21Z
জাতীয়

মাদারগঞ্জে একটি রাস্তার অভাবে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন ৩৫ পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ

Advertisement
 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জামালপুরের মাদারগঞ্জের কড়ইচড়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত  মহিষবাথান পূর্বপাড়ার শেষ অংশ ও গড়পাড়া এলাকার শেষ অংশে চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা না থাকায় ৩৫টি পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। মাদারগঞ্জ উপজেলার একেবারে সিমান্তবর্তী হওয়াই অনেকটা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত তারা। পাশেই মেলান্দহ উপজেলার সিমানা। বলা চলে  ছিটমহল বাসিন্দার মত জীবন যাপন করছেন তারা। ৬০ বছর ধরে যে রাস্তাটি দিয়ে  চলাচল করতো দুই প্রতিবেশী  দু পাশ থেকে মাটি কেটে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দূর্ভোগ একেবারে চরমে পৌছে গেছে। সম্প্রতি রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিধিরা উদ্যোগ নিলেও  প্রতিহিংসার জেরে সেটিও করতে দিচ্ছে না জমির মালিক।  সরজমিন গিয়ে দেখা যায়  রাস্তা না থাকায় ৩৫টি পরিবার চরম দূর্ভোগ  পোহাচ্ছেন। একটি সাইকেল চলাচল করার মত রাস্তাটুকুও তাদের নেই। দু পায়ে হেটে চলাচলও ঝুঁকি। এরই মধ্যে মতিবর ও গফুর নামে দুই ব্যক্তি তারা পায়ে হেটে চলার রাস্তাটিও সম্প্রতি মাটি করে বন্ধ করে দেওয়ায় আরো দূর্ভোগে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। অসুস্থ রোগী পাঁচফুল বেগম বলেন,রাস্তার অভাবে আমরা খুব কষ্টে আছি। কয়েকদিন ধরে আমি অসুস্থ।একটি গাড়ি এসে যে আমাকে বাসা থেকে নিয়ে যাবে সে সুযোগ নেই। আরেক ভুক্তভোগী মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন,প্রায় ৬০ বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করি। আমাদের একটি রাস্তা না থাকায় কতটা কষ্টে আছি তা বলে শেষ করা যাবে না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। ৬০ বছর ধরে যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতাম সেটিও জমির মালিক কেটে কেটে সংকীর্ণ করেছে। এখন দু পায়ে হেটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি রাস্তা নির্মাণের জন্য টিআর কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ এসেছিল। কাজ যখন শুরু হয় তখন জমির মালিক বাধা দেওয়ায় সেটি বন্ধ হয়ে গেছে।  কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ আমাদের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা তৈরি করে দেন। এতে আমাদের কষ্ট দুর হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কাউসার বলেন,আমাদের রাস্তা না থাকায় একটি সাইকেলও কিনতে পারিনি। যদি রাস্তা থাকতো তাহলে বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারতাম। আরেক ভুক্তভোগী নুর আহমেদ বোচা বলেন,রাস্তা না থাকায় আমরা ৩৫টি পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ অনেক কষ্টে আছি। রাস্তার অভাবে ছেলে মেয়েকে বিয়ে করাতে পারছি না। বিয়ের জন্য ছেলে মেয়েকে দেখতে আসলে রাস্তা না থাকায় বিয়ে আর আগায় না।  আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ নাদির বলেন,ঘটনাস্থল সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।