Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ :
বেড়া'য় কবরস্থানের পাশে অপরিকল্পিত ভাবে গবাদিপশুর খামার স্থাপন ও খোলা স্থানে দুষিত বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে জনভোগান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নাধীন কুশিয়ারা -বকচর গ্রামে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম, বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম হাবিবুল ইসলাম ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ শেখ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (৬৬) ও আব্দুর রহমান (৪০) কুশিয়ারা গ্রামের ইসলাম প্রামাণিকের ছেলে।
জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে কুশিয়ারা কবরস্থানর পাশে গরু ও ছাগলের খামার নির্মাণ করেন সাইফুল ইসলাম। এরপর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে উক্ত খামারের পাশে ও কবরস্থানের সাথে মোকসেদ প্রামাণিক জমি বিক্রয় করতে চাইলে মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের কথা বলে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে উক্ত জমি ক্রয় করেন সাইফুল ইসলাম। কিন্তু সেখানে মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ না করে ব্রয়লার মুরগীর খামার স্থাপন করায় ফুঁসে উঠেছে অত্র এলাকার সচেতন মহল। স্থানীয়দের তোপের মুখে ব্রয়লার মুরগী বিক্রয় করে দিলেও প্বার্শবর্তী গরু ও ছাগলের খামারের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা। এমনকি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করতে আসা মুসল্লী গণ কে থাকতে হয় নাক চেপে। এমতাবস্থায় কবরস্থানের পাশ থেকে অপরিকল্পিত গবাদিপশুর খামার সরিয়ে নিতে রীতিমতো আন্দোলন শুরু করেছে কবরস্থান কমিটি সহ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, খামারে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা না করে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বিষাক্ত বর্জ্যের দুর্গন্ধে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে খামারের পার্শবর্তী বাড়ীঘর।
কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আফসার প্রামাণিক বলেন, কবরস্থানের পাশে অবস্থিত গবাদিপশুর খামারের বিষাক্ত বর্জ্যের দুর্গন্ধে মরদেহ দাফন করতে আসা মুসল্লীদের বিরম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়াও ব্রয়লারের খামার থেকে কবরস্থানের মধ্যে মরা মুরগী ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে কবরস্থানের সাথে নির্মিত ব্রয়লার খামার সরিয়ে ফেলা ও পাশের গরুর খামারের বজ্র পরিশোধনাগার নির্মাণ কল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এবিষয়ে কবরস্থান কোষাধ্যক্ষ ও ব্রয়লার খামারের জমির প্রাক্তন মালিক মোকসেদ প্রামাণিক বলেন, আমার কাছ থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের কথা বলে জমি ক্রয় করে এখন মুরগির খামার করে কবরস্থানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। অতিদ্রুত সময়ে ব্রয়লার মুরগীর খামার ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে বেড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নুরেন মাইশা খান বলেন, কবরস্থানের সাথে গবাদিপশুর খামার ও খামারের দুষিত বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে ফেলার কথা আপনার মাধ্যমে জানলাম। অতিদ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


