Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
ঘুষ ও উৎকোচ গ্রহনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বেড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস। সেবাগ্রহীতাদের নিকট থেকে ঘুষ চাওয়া, ঘুষ গ্রহণ ও সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে আসা সেবাগ্রহীতার নিকট এক কর্মকর্তার ঘুষ চাওয়া কে কেন্দ্র করে তীব্র বাক-বিতন্ডার ঘটনায় সচেতন মহলে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় থেকে সেবা গ্রহণকারী শতাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়,বয়স সংশোধন, নাম ও পিতা-মাতার নাম সংশোধন সংক্রান্ত যেকোন কাজই করতে হয় উৎকোচের মাধ্যমে। প্রত্যাশিত উৎকোচ প্রদান করলে কোন কাজই যেন অসম্ভব নয় এই অফিসটি তে।
বেড়া উপজেলার সাফুল্যাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি আমার বয়স সংশোধনের জন্য বেড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কর্মরত একজন অফিসার ১০ হাজার টাকা দাবি করায় আমি বয়স সংশোধন করতে পারি নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বাটিয়াখড়া এলাকার এক ব্যক্তি জানান, জরুরী প্রয়োজনে আমার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেড়া উপজেলার এক নাগরিক জানান, আমার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ২২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর লিমন কুমার সরকার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, কারও নিকট থেকে ঘুষ নেওয়ার কোন প্রমাণ নেই। এবারের মত ক্ষমা করে দেন।
বেড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল রহিম বলেন, মাত্র কয়েকদিন হলো আমি এই অফিসে যোগদান করেছি।এরমধ্যে যেহেতু ঘুষ চাওয়া কে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার মত ঘটনা ঘটেছে অফিস প্রধান হিসেবে এর দায় আমি এড়াতে পারি না। অভিযুক্ত লিমন কুমার সরকার কে সতর্ক করা হয়েছে। এবারের মত ক্ষমা করে দেন, আমি কথা দিচ্ছি পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।এরপরও যদি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


