Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
বিশ্ব-ব্যাংকের অর্থায়নে মানব-সম্পদ উন্নয়নে নাগেশ্বরী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ কবিরের দক্ষ অভিজ্ঞতা ও প্রচেষ্টায় ১৪টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যবিধি, রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশকে পরিষ্কার ও স্বাচ্ছন্দ্য রাখাসহ প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে বিধি-মোতাবেক ল্যাট্রিন ও ওয়াশব্লক নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, মানব-সম্পদ উন্নয়নে নাগেশ্বরী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মানব-সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীন পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রজেক্টের আওতায় (১৪টি ইউপি) কচাকাটা, কালীগঞ্জ, কেদার, নেওয়াশী, সন্তোষপুর, রামখানা, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাষ, বেরুবাড়ী, নারায়ণপুর, নুনখাওয়া, রায়গঞ্জ, হাসনাবাদ ও নেওয়াশী ইউনিয়নে ৩হাজার ২০৬টি ল্যাট্রিন নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে গ্রাম ও চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষরা মানব সম্পদ উন্নয়নের ল্যাট্রিন পেয়ে জনস্বাস্থ্য সেবায় উন্নতি হশেছে।
অপরদিকে নাগেশ্বরী উপজেলাযর প্রায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াশব্লক নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় অপরিহার্য সুবিধা ও রোগের বিস্তার রোধ। আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় ব্যবহারবান্ধব।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৩হাজার ২০৬টি ল্যাট্রিন নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ায় উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের মফস্বল ও চলাঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবার স্বাস্থ্যবিধি, রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশকে পরিষ্কার ও স্বাচ্ছন্দ্য ল্যাট্রিন ব্যবহার করে জনস্বাস্থ্য সেবায় সার্বিকভাবে উন্নীত হচ্ছে এবং বদলে যাচ্ছে ইউনিয়নের দৃশ্যপট।
উপকারভোগী রামখানা সাদেকেরকুটি গ্রামের সোরাফ উদ্দিন, হাসনাবাদ বলায়েরপাটের মোখলেচুর রহমান, নুনখাওয়া বাহুবল মন্ডলেরভিটার জাবেদ আলী, কালিগঞ্জ মন্নেয়ারপাড়ের কছিরন বেগম, বল্লভেরখাস সরকারটারীর ছামিনা বেগম ও নেওয়াশী মন্ডল্টারীর শহিদুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন, নাগেশ্বরী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আওতায় এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ১৪টি ইউনিয়নে মানব-সম্পদ উন্নয়নে স্বাস্থ্যসন্মত ল্যাট্রিন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে নির্মাণ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত শেষ হওয়াশ আমাদের মতো মফস্বল ও চরাঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবার স্বাস্থ্যবিধি, রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশকে পরিষ্কার ও স্বাচ্ছন্দ্য করছে।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম, কছিমদ্দিন, নুনাহার বেগম, মর্জিনা বেগম, সাইদুল হক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশব্লকের নির্মাণ হওয়ায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবহার করায় রোগের বিস্তার রোধ রোধ হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোতে বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, আনিসুর রহমান, মনজুর হোসেন বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়াশব্লকের নির্মাণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা পরিবেশে ব্যবহার করছে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নাগেশ্বরী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ কবীর বলেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ সুষ্ঠুভাবে তদারকি চলমানের মধ্য দিয়ে গুণগতমান বজায় রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ল্যাট্রিন ও ওয়াশব্লক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ বলেন, নির্মাণ কাজ সর্বোচ্চ গুণগতমান বজায় রেখে সমাপ্ত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের তত্বধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব-ব্যাংকের অর্থায়নে মানব-সম্পদ উন্নয়নে নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধায়নে এবং দক্ষ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ল্যাট্রিন নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াশব্লকের নির্মাণ হওয়ায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পেয়েছে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ।


