Advertisement
বর্তমানে তার দাপটে কোনঠাসা হাটখালী ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘদিন ১৫ বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আওয়ামিলীগের ছত্রছায়ায় থেকে রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতার দাপট দেখানো রবিউল আমজাদ মিলন সরকার পতনের পর খোলস বদলে বিএনপির বড় নেতায় পরিণত হয়েছে। এমনকি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় হাটখালী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
হাটখালী ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর অভিযোগ, সরকার পতনের পর হাটখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আমজাদ হোসেন পান্নুর বড় ছেলে এইচএম রবিউল ইসলাম মিলন বর্তমানে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা এই ব্যক্তি সম্প্রতি নিজেকে হঠাৎ বিএনপির একজন 'বড় নেতা' হিসেবে তুলে ধরছেন যা এলাকাবাসীর মাঝে বিস্ময় ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, মিলন প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ ও ঘনিষ্ঠ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। উপজেলা নিবার্চনে আওয়ামিলীগ প্রার্থীর প্রচারণা, আওয়ামীলীগের দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেলে নিজের অবস্থান পাল্টে বিএনপির 'শীর্ষ নেতা' হিসেবে পরিচিতি গড়তে শুরু করেন তিনি। এমনকি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে গাজনার বিল এলাকায় মাছের বাঁধ দখল, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বলপ্রয়োগ ও স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এসব তৎপরতায় তাকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে তার ছোট ভাই শাহীনুজ্জামান শাহীন (যিনি এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত)।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, মিলন বর্তমানে বিএনপির স্থানীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিজের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টায় নিয়োজিত তিনি। তার এমন আচরণ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলা জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেন, “এক সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে মিটিং করতেন মিলন। এখন নিজেকে বিএনপির বড় নেতা বানিয়ে জনগণের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে দলের দুর্সময়ের ত্যাগী কর্মীদের বিএনপি ছেড়ে দিতে হবে।
এলাকার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মিলনের দ্বৈত রাজনৈতিক পরিচয় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এলাকায় নৈরাজ্য তৈরি করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।