lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
Last Updated 2025-08-09T10:17:58Z
মানববন্ধন

সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে পলাশে মানববন্ধন:দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

Advertisement


 


হাজী জাহিদ: 

গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মোঃআসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব। শনিবার ৯ই আগস্ট দুপুর ১২টায় উপজেলা সদরের প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ছাড়াও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা শুধু ব্যক্তিকে নয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”


বক্তারা জানান, গত ৭ই আগস্ট সাংবাদিক তুহিন “চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে” একটি অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এর জেরে একইদিন গাজীপুর চৌরাস্তায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হামলায় বাংলাদেশের আলো পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন সৌরভ গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।



পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজী জাহিদ হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম রনি, সিঃসহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর  কবির , যুগ্ম সম্পাদক মো. আল আমিন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলামসহ বক্তারা বলেন— সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলা প্রমাণ করে যে পেশাগত নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি।

তারা দ্রুত তদন্ত শেষ করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় সারাদেশে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।


সাংবাদিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি। গত ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার সাংবাদিক। এর মধ্যে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বক্তারা “সাংবাদিক সুরক্ষা আইন” প্রণয়ন, হয়রানিমূলক ধারা বাতিল, বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ, এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার দাবি জানান।


সভা থেকে সাংবাদিক নিরাপত্তাকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং একটি স্বাধীন “সাংবাদিক নিরাপত্তা কমিশন” গঠনের আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, “সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দলাদলি নয়—একক প্ল্যাটফর্ম থেকেই অধিকার আদায় সম্ভব।”