সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহা ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামার পল্লিতে ব্যস্থতা ততই বাড়ছে। তাই দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তাই এই ঈদে পশু কুরবানির জন্য ব্যবহৃত দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরিতে ব্যস্থ সময় পাড় করছে কামারীরা। আগুনের তাপে লাল হয়ে উঠেছে কোরবানির পশু জবাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এক কামার তার সহযোগী দিয়ে পেটাচ্ছেন লোহা দিয়ে লোহাকে। চারপাশে শুধু হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখরিত। তাদের চোখে-মুখে ক্লান্তি, তবুও থেমে নেই লাল তীব্র আগুনের ঝাঁজের ঘামে ভেজা ক্লান্তিহীন শরীর।
Advertisement
কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারদের হাতে বানানো দা, বটি, ছুরি, চাপাতি ও চাকু সহ বিভিন্ন লোহার ধারালো জিনিসপত্র নিজেরাই বিক্রি করছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। আবার বিভিন্ন হাট বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ীগণ তাদের কাছ থেকে পাইকারী দামে এসব লোহার এসব দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র দোকানে রেখে খুচরা বিক্রি করেন।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর ফকিরগঞ্জ বাজারে সাপ্তাহিক দুই দিন হাট বসে। ওই হাটে কামারীরা লোহার তৈরি এসব জিনিসপত্রের পসরার দোকান সাজিয়ে বসেন। এছাড়াও কামারীদের কাছে থেকে পাইকারি দামে কিনে এনে খুচরা বিক্রিও করছেন অনেক দোকানী। প্রকার ভেদে চামড়া ছাড়ানো ছুরি ৮০ থেকে ১০০, দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৩০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ৮০০, চাপাতি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে সেসব লোহার এসব জিনিস কিনতে ক্রেতাদের ভীড়ও চোখে পড়ার মতো। হাটের অন্যান্য পট্টি ছাড়াও কামার পট্টিতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। তবে প্রতিবারের থেকে এবারে কাজ কম এবং জিনিসপত্রের প্রয়োজনীয় কাঁচা মালের দামও একটু বেশি বলে জানান কামারীরা।