Advertisement
হাজী জাহিদ:
নরসিংদীর পলাশে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেন (২৬)–এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিকেল ৪টায় পলাশ বাসস্ট্যান্ডে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে নেতাকর্মীরা খুনের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পলাশ থানা ফটকে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন সোহেল, মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, আমানউল্লাহ আমান, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার অনুসারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন বিকালে ঘোড়াশালের বিএডিসি মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সঙ্গে জুয়েল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন এবং ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেন ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাঈলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২১ জুন) দুপুরে তিনি মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার দিন রাতেই ইসমাঈলের মৃত্যুতে ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন।
এর দুই দিন পর বিএনপি নেতা জুয়েলের পক্ষ থেকেও পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পুলিশ ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি নরসিংদী জেলা কারাগারে রয়েছেন।
পলাশে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সাধারণ মানুষ দ্রুত বিচার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন চাচ্ছেন।