Advertisement
হৃদয় হোসাইন,প্রতিবেদক: পাবনার বেড়া উপজেলাধীন আমিনপুর থানার প্রত্যন্ত ঢালারচর অঞ্চলে আলো ছড়াচ্ছে দয়াল নগর বাহারুন্নেছা পাবলিক লাইব্রেরি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের চেতনা ও মন আলোকিত করার বাতিঘর হয়ে উঠছে এ লাইব্রেরিটি। ২০১১ সালে সমাজসেবক ব্যবসায়ী এম.এ বাতেন খান। তার মায়ের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে। নিজ মায়ের নামে দয়াল নগর বাহারুন্নেছা পাবলিক লাইব্রেরি ও বিকে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন মানবিক কাজের সাথে যুক্ত ফাউন্ডেশনটি। নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করে জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করে সমাজসেবক আলোকিত মানুষ গড়তে তার এই উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বড় ভূমিকা রাখছে দয়াল নগর বাহারুন্নেছা পাবলিক লাইব্রেরি। এলাকার তরুণ সমাজকে মাদকের আসক্তি,মোবাইল নিয়ে ব্যস্ততা,মোবাইল গেইমের করাল গ্রাস মুক্ত জীবন গঠনে ভূমিকা রাখবে এই পাবলিক লাইব্রেরী এমনটি মনে করছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। লাইব্রেরী ও ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দয়ালনগর এলাকায় ২তলা একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বই পড়ার পাশাপাশি জ্ঞানের প্রতিযোগিতা,গুণী সংবর্ধনা,কবিতা আবৃত্তি,কম্পিউটার প্রশিক্ষণ,কুসংস্কারমুক্ত,বাল্যবিবাহ মাদক মুক্ত সমাজ গঠনসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা বৈঠক হয়ে থাকে। বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্প,উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও গার্মেন্টস ঝুট থেকে হাইজিন পণ্য উৎপাদন প্রশিক্ষন। প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মশালা,বৃক্ষরোপণ,প্লাস্টিক পলিথিন এর বিনিময় শীতবস্ত্র বিতরণ,রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা,ইফতার বিতরণ। ১৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী বই মেলা। কৃষি মেলা ও নবান্ন উৎসব পালন। সর্বসাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ও আরবি ভাষা প্রশিক্ষন,বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে হস্ত শিল্পকর্ম প্রতিযোগিতাসহ নানান আয়োজন করা হয়। বিকে ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সামাজিক সেবামূলক এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছে দয়াল নগর বাহারুন্নেছা পাবলিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবু সায়েম প্রামানিক বলেন,লাইব্রেরিও ফাউন্ডেশনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক,ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান,বিডিডিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.এ বাতেন খান। ঢালারচরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানবিকতা ও জ্ঞানের আলো ছড়াতে লাইব্রেরী ও ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠা করেন। লাইব্রেরীতে বর্তমানে দেশী বিদেশে লেখকের প্রায় ৪ হাজার বই রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। অবসর সময়ে ৩০-৪০ পাঠক নিয়মিত বই পড়েন। আমাদের কয়েকশত স্বেচ্ছাসেবক সদস্য আছেন তারা মানবিক কাজের সাথে যুক্ত। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পরিবেশ বান্ধব কৃষি অঞ্চল গড়তে অল্প সময়ের মধ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ স্কুল গড়ে তোলা হবে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের মানবিক কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে।