Advertisement
ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে ইসলাম ধর্মের মহান খলিফা হযরত উমর (রা.) এবং সাহাবি হযরত মুয়াবিয়া (রা.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতমূলক মন্তব্য করে পোস্ট দেওয়ায় মৌলভীবাজারে নারী আইনজীবী উমায়রা ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) সকালে পুলিশ আইনজীবী উমায়রা ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারগারে প্রেরণ করেন। এর আগে শনিবার রাতে তাকে তার মৌলভীবাজার শহরের ক্লাব রোডস্থ নিজ বাসা থেকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আনরজীবী উমায়রা ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক টাইমলাইনে দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্ম, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), খলিফা হযরত উমর (রা.) এবং অন্যান্য সাহাবিদের নিয়ে কটূক্তিমূলক ও উস্কানিমূলক পোস্ট করে আসছিলেন। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে তিনি পুনরায় সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় পোস্ট দিলে তা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নজরে আসে। এ পোস্টের কারনে জেলাব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জেলা শহরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মৌলভীবাজারের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা, বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, আলেম-ওলামা ও সর্বদলীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে নারী আইনজীবী উমায়রা ইসলামকে দ্রæত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ শনিবার (২৮ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ক্লাব রোডস্থ ওই নারী আইনজীবীর নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানার নিয়ে আসার পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে সাইবার সুরক্ষা আইনের ২৯ ও ৩১ ধারায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওইমামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার (২৯ জুন) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে সর্বদলীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজারের আহবায়ক মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে কটূক্তি কোনভাবেই বরদাশত করা যায় না। এ ধরনের কটূক্তি বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে উমায়রা ইসলামকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’