lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-30T04:15:52Z
ব্রেকিং নিউজ

বাঘায় পড়া না পারায় শিক্ষার্থীকে মেরে পঙ্গু-প্রায়ঃ স্বাভাবিক জীবনের ফিরতে লাগবে ৫-৬ লক্ষ টাকা

Advertisement


 



বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় এক মাদ্রাসায় পড়া না পারার জন্য ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মো: আব্দুল রহমান কে মেরে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে আড়ানী কাসেমুল উলুূম ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষক বেলাল ক্বারী,ঢাকার অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন রহমানের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রয়োজন ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।



মাদ্রাসা শিক্ষাকের মারের আঘাতে পঙ্গু প্রায় অবস্থা ১৪ বছর বয়সী মক্তবশ্রেণী'তে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল রহমান(১৪) উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চক-বাউসা (রাজার মোড়) এর কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। 



তার বাবা জানাই গত (০৩ মে ২০২৫) ইং তার ছেলে মাদ্রাসা পড়া অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষক তার কাছে কল করেন,তিনি যেন দ্রুত আড়ানী বাজারে আনোয়ার ফার্মেসীতে আসেন,আমি বললাম কেন এতে তাড়াতাড়ি আমায় ঔষধের দোকানে যেতে হবে সেই শিক্ষক বলেন আপনার ছেলে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সেই কথা শুনার সাথে সাথে আমি আড়ানী বাজারে আনোয়ার ফার্মেসী তে চলে যায় গিয়ে দেখি আমার ছেলে অজ্ঞান অবস্থায় হাত-পা বাঁকা হয়ে আছে। আমি ডাক্তার কে ও শিক্ষককে বললাম কি হয়েছে আমার সুস্থ ছেলেটির তারা চুপ থাকে এক পর্যায়ে ডাক্তারের চাপে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিকার করেন যে শ্রেনী শিক্ষক বেলাল ক্বারী ক্লাসে পড়া না পারার জন তাকে কয়েকটি মেরেছেন। 



উক্ত শিক্ষার্থীর অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার আনোয়ার ফার্মেসীর ডাক্তার তাকে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন, সাথে সাথে আমি আমার ছেলে রহমান কে নিয়ে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (০৩ জুন) ইং ভর্তি করি।পরেদিন(৪ মে)কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন‍্য রাজশাহী মেডিকেল রেফর করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে জানায় আপনার ছেলেকে অতিরিক্ত মারের ফলে ক্রোমাতে চলে গেছ।



পরবর্তীতে রাজশাহী পপুলার এ নিয়ে গেলে সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেন, রোগীর ঘাড়ের একটি রগে আঘাতের ফলে ওই রগটি কুঁকড়ে গেছে ফলে তার হাত পা কুঁকড়ে/বাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিষয় টি অতি জরুরি পর্যায়ে আপনার ছেলে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। 



এমন পর্যায়ে আমি কিছু দিন রাজশাহীতে তে চিকিৎসা নেওয়ার পর ঢাকা পপুলার নিয়ে যায়।সেখান কার অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ একই কথা বলেন তার একটি ঘাড়ের রগে আঘাত লাগার ফলে রগটি কুঁকড়ে গেছে, ফলে সেই রগে রক্ত সঞ্চালন করতে পারছে না যার জন্য সে সময় সময় পাত-পা কুঁকড়ে যাচ্ছে। অতি জরুরি ভাবে অপারেশন করতে হবে। ডাক্তার বলেছে বাংলাদেশে অপারেশন করতে ৫-৬ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।



আহত শিক্ষার্থী আব্দুল রহমানের একজন কৃষক তার পক্ষে এতো টাকা দিয়ে চিকিৎসা বা ছেলে কে সুস্থ করার ক্ষমতা নেই। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নেয়নি কোন দ্বায়িত্ব। শিক্ষার্থীর বাবা মা অভিযোগ করেন মাদ্রাসা কতৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা বলেছেন আমরা এ বিষয়ে কোন দ্বায় নিতে পারবো না, আপনারা যা পারেন করে নিয়েন।



এমন ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে আতঙ্ক, এভাবে যদি মাদ্রাসায় মারধর করা হয় তাহলে ভবিষ্যৎতে সন্তান কে তারা মাদ্রাসা পাঠাবেন কোন ভরসায়, এলাকাবাসী সহ তার পরিবার উক্ত নিন্দানীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও সঠিক বিচার দাবি করছেন। 



উক্ত বিষয়ে বাঘা উপজেলার গণমাধ্যম ও  মানবাধিকার কর্মী (এনপিএস) মো: বিপুল হোসেন (সৈকত) বলেছেন মাদ্রাসা শিক্ষক যে কাজটি করেছেন তা সম্পুর্ণ অন্যয় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করেছেন, মাদ্রাসায় এমন ভাবে নির্যাতনের ভিডিও আমরা সোশাল মিডিয়া প্রায় সময়ী দেখে থাকি। এইভাবে যদি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মারধরবা শারীরিক নির্যাতন করা হয় তাহলে ভবিষ্যৎ তে দেখা যাবে মাদ্রাসা সন্তানকে আর ভর্তি করাবেন না কোন পরিবার।