Advertisement
মাহ্তাবুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত ঠিকাদার ও প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১০৯ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া দ্বীনিয়িা মাদ্রাসা হইতে জাহাঙ্গীর খান বাড়ী পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণে দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন আবুল হোসেন নামের এক ঠিকাদারকে।
ঠিকাদার আবুল হোসেন প্রকল্প এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লাকে প্রকল্প সভাপতি করেন। অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সভাপতি ও ঠিকাদার মিলে নামে মাত্র কাজ করে ওই বরাদ্দের ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুর্ভোগে পরেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান ভেকু মেশিন (Excavator Machine) দিয়ে রাস্তায় অল্প মাটি দিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাটি কম দেয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। স্থানীয় আব্দুস ছালাম, মুরাদ হোসেন ও মহসীন বলেন, ঠিকাদারকেতো চোখেই দেখিনি। প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা ভেকু মেশিন দিয়ে কিছু মাটি রাস্তায় লেপটে দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাস্তায় অল্প কিছু মাটি দিলেও তা সরে গেছে। সকল রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় মানুষের চলাচল অনুপোযোগী হয়ে গেছে। বোঝার অবকাশ নেই এ রাস্তায় মাটি দেয়া হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রকল্প সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা নামে মাত্র কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ভেকু মেশিন দিয়ে ৬৪ ঘন্টা কাজ করেছি। প্রকল্পে যতটুকু রাস্তা ধরা ছিল তার চেয়ে বেশীও করেছি।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, এমপির বিশেষ বরাদ্দের কাজ এটি, শুনেছি তালতলী উপজেলার এক ঠিকাদার করেছে। এই কাজ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আপনাদের কিছু জানার থাকলে এমপি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, কাজ শেষ হওয়ায় বরাদ্দকৃত টাকা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার আবুল হোসেন ও প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা টাকা তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এখনই খোঁজ নিচ্ছি, যথাযথভাবে কাজ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১০৯ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন আপনাদের সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা আরও একটু বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং ভুক্তভোগীদের আমার বরাবরে একটা আবেদন লিখতে বলেন আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন পিআইও ভালোভাবে খতিয়ে না দেখে কিভাবে অর্থ ছাড় করলো সেই বিষয়টি আপনারা একটু ভালোভাবে অনুসন্ধান করেন।


