lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১৮ জুন, ২০২৩
Last Updated 2023-06-18T14:32:44Z
আইন ও আদালত

স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে এসে তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যার চেষ্টা

Advertisement

সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 

স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় হাজিরা দিতে এসে সিরাজগঞ্জে আদালতের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক রনি (২৬) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে ঘটনাটি ঘটে।

আহত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাক কাজিপুর উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের পেশকার মো. রাসেল জানান, ২০২২ সালের (১ মার্চ,) তিথি আক্তার বন্যা বাদী হয়ে তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ সেই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম সালমা খাতুন উভয় পক্ষের আইনজীবীকে বলে মামলাটি আপস মীমাংসার চেষ্টা করেন। প্রথম পর্যায়ে আব্দুর রাজ্জাক রনি সংসার করার জন্য রাজি হন। পরে তিনি বলেন, সংসার করবেন না। এসময় বিচারক আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আপস মীমাংসা জন্য ৩০ মিনিট সময় দেন। পরে ফের ডাকা হলে আসামি বলেন,আমি সংসার করবো না। আমাকে জেল দেন, ফাঁসি দেন।, এ কথা শুনে আবারও মীমাংসা জন্য সময় দেন বিচারক। তৃতীয়বার যখন ডাকা হয়, তখন ওই পুলিশ সদস্য তিন তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত পিপি) অ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বিথি বলেন, বিচারক আপস মীমাংসার কথা বলেন। মামলার বাদী তিথি আক্তার বন্যা রাজি হলেও আসামি রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি এজলাস থেকে বেরিয়ে বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক. ডা. রোকন উদ্দিন বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত ওই ব্যক্তি বড় কোনো আঘাত পাননি।, দুই এক দিনের মধ্যেই বাড়িতে চলে যেতে পারবেন তিনি।