Advertisement
মোঃ বাবুল রানা; ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশ দেখে চেনার উপায় নেই এটি মহাসড়ক নাকি গ্রামীণ সড়ক। ভোলা চরফ্যাশন মহাসড়কে ধুলার কারণে দিনের বেলায় অন্ধকার নামে।
ধুলার মধ্য দিয়ে মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। এতে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।
এছাড়া প্রতিনিয়তই সড়কে যানবাহন বিকল হওয়াসহ ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কের আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান আর গাছপালাও এখন ধুলায় ছেয়ে গেছে। সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় ধুলায় কিছুই দেখা যায় না এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের।
ধুলায় অন্ধকার ভোলার চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে কাজ জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে।
ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে মোট ১০৮ কিলোমিটার কাজে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। জেলা সদরের সাথে ৬ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই মহাসড়কে প্রতিদিন হাজারেও বেশি যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে এ মহাসড়ক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে ধুলাবালির আর খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
বজলুর রহমান নামে এক যাত্রী আক্ষেপ করে বাংলাদেশ প্রকাশ কে বলেন, রাস্তার কথা বলে কোনো লাভ নেই। আমাদের ভোগান্তি আমাদেরই পোহাতে হবে। ধুলাবালিতে রাস্তায় চলা দায় হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলে তো হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। আল মামুন নামে এক বোরকচালক জানান, জনগণের কথা কেউ ভাবে না। ধুলাবালির কারণে রাস্তায় কিছু দেখি না গাড়ি আসতেছে কিনা সেই টা ও দেখা যাচ্ছে না, যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার করে পানি দিত ধুলাবালিটা উড়ত না। ধুলাবালি আর রাস্তা ভাঙায় যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভগ নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকাশ কে জানান, ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ প্রায় শেষ আর মাত্র ৪ কিলোমিটার বাকি আছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খুব শিগগিরই আমরা কাজ শেষ করতে পারবো। কাজ শেষ হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। পানি থাকে আবহাওয়ার কারণে আপাতত পানি দিচ্ছে না। তবে দ্রুত পানি দিবে।