Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হলেও উপেক্ষিত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ। পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার অন্তর্গত শহীদনগর (ডাব বাগান) স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অত্র এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা গণ সহ সচেতন মহল। এঘনায় সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও উদাসীনতা কে দায়ী করছেন তারা। এবিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না দায়সারা বক্তব্য প্রদান করলেও পাবনা জেলা প্রশাসক শাহেদ মোস্তফা'র কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ময়লা- আবর্জনায় ভরপুর স্মৃতিস্তম্ভের উপরে রয়েছে ছাগলের বিষ্টা ও গোবর। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও স্থানটি পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন করতে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি সরকারি ও বেসরকারি ভাবে। বিজয় দিবসে এমন ঘটনাকে দেশপ্রেমের চরম ঘাটতি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন,যাদের অসামান্য আত্মত্যাগে অর্জিত এই বিজয় তারাই আজ উপেক্ষিত। বিজয় দিবসে উপজেলা পরিষদের ভবনগুলো সজ্জিত করা হয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ সজ্জিত করা দূরের কথা তাকিয়েও দেখা হয় না।
এবিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিজু তামান্না গণমাধ্যম কে বলেন, কোন স্থাপনা (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ) সজ্জিত করার বিষয়ে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই। তবে উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ সজ্জিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে পাবনা জেলা প্রশাসক শাহেদ মোস্তফা কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়া হলেও কোন প্রতিত্তোর পাওয়া যায় নি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ডাববাগানের যুদ্ধ ছিল একাত্তরের এক মাইলফলক। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার কাশিনাথপুর ইউনিয়নাধীন নগরবাড়ী -বগুড়া মহাসড়কের পাইকরহাটি (শহীদনগর)'র ডাববাগান নামক স্থানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এতে ৫০জন পাক সেনা নিহত এবং মুক্তিযোদ্ধা,ইপিআর সদস্য ও সাধারণ মানুষ সহ ৩০ জন শহীদ হন।


