Advertisement
সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় একসাথে দুইদিনের স্বাক্ষর করে পরের দিন স্কুলে না আসার সত্যতা মিলেছে সোহরাব চাপল নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার বালিয়া রাসডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে ওই স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একজন শিক্ষক মাঠের মধ্যে বসে রোদ পোহাচ্ছেন। আর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে এলোমেলো ভাবে খেলাধূলায় মত্ত। জানা যায়, ওই স্কুলের কার্যক্রম চলছে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে। এরমধ্যে একজন নারী শিক্ষক রয়েছেন। তিনিও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন বলে জানা যায়। প্রধান শিক্ষক একাই স্কুলের মাঠে বসে রয়েছেন। আর সোহরাব চাপল নামের আরেকজন সহকারী শিক্ষক স্কুলে আসেননি।
অফিস কক্ষের ভিতরে শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় বৃহস্পতিবারের স্বাক্ষর বুধবারেই করে রেখেছেন সোহরাব চাপল। প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন রায়কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, সোহরাব চাপল গতকাল বুধবার স্কুলে এসেছিলেন কিন্তু বৃহস্পতিবারে স্কুলে আসেননি৷ তবে বুধবারেই বৃহস্পতিবারের স্বাক্ষর করে রাখার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক সোহরাব চাপল মুঠোফোনে জানান, আমি গত বুধবারে স্কুলে এসেছিলাম। আমার চোখের একটু সমস্যা রয়েছে। তাই ওইদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার সময় ভুল করে বৃহস্পতিবারেরও স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে। তাহলে কেন বৃহস্পতিবারে স্কুলে আসেননি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ জানতে পারি আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি অসুস্থ। তাই তাদেরকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে এসেছি। এইজন্য স্কুলে যাওয়া হয়নি। আর ছুটির বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে ছুটির আবেদন দিবেন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে আটোয়ারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ রানা জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বে অনেক অভিযোগ ছিল। তাই তাকে রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ডেপুটেশন হিসেবে বালিয়া রাসডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর একদিন এসে আরেকদিনের স্বাক্ষর করে রাখার বিষয়ে আমরা তদন্ত করব। তার কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


