lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
Last Updated 2025-11-19T05:30:28Z
রাজনীতি

কুড়িগ্রাম-১ আসনের সামগ্রিক অগ্রগতির একটি নাম সাইফুর রহমান রানা

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-কচাকাটা) আসনের সামগ্রিক অগ্রগতি, ৪০বছরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের একটি নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা।


সম্প্রতি, জননেতা আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র ২৫ কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে শহর, গ্রাম কিংবা চরাঞ্চলে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ, পথসভা, জনসভায় মানুষের ঢল এবং তিনি বলছেন জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা আমার মূল-শক্তি। আমি এই জনপদের সন্তান হিসেবে সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম এবং আপনাদের সেবক হয়ে থাকবো। তার প্রতিটি পথসভা ও জনসভায় ঘিরে হাজারো মানুষের ঢল। এক কথায় তার নির্বাচনি মাঠ এখন বেশ উৎসব মুখর পরিবেশে যেন প্রীতিবন্ধন। সাইফুর রহমান রানার সামাজিক ও মানবিক অগ্রগতিতে এ আসনের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। বিএনপির ত্যাগী ও আস্থার প্রতীক রানা এই আসনে জনগণের বিপুল ভোটে নিশ্চিত জয় করবেন।


সাইফুর রহমান রানা শৈশব থেকে বিনয়ী ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। সমৃদ্ধ পরিবারে জন্ম হলেও তাঁর মধ্যে ছিলো না অহংকারের লেশমাত্র। তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে আসছেন। দীর্ঘ ৪০বছরের রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি অর্জন করেছেন অবিস্মরণীয় সাফল্যে। ছাত্র-জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮০খ্রি. বিএনপি'র ছাত্রদলে পদার্পণ করেন। ১৯৮২খ্রি. কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২খ্রি. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের প্যানেলে ক্রীয়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯২খ্রি. কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ১৫ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬খ্রি. ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬খ্রি. কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক এবং ২০০০খ্রি. জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন। আগস্ট ২০০১খ্রি. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯শত ভোটে পরাজিত হন। ২০০৩খ্রি. জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হয়ে দীর্ঘ ২৩বছর দলকে সু-সংগঠিত করে তুলেন তিনি। ২০০৮খ্রি. জেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহ্বায়ক এবং ২০০৮খ্রি. নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। ২০০৯খ্রি. বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন এ বষীয়ান নেতা। ২০১৮খ্রি. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১লক্ষেরও বেশি ভোট লাভ করেন। কিন্তু রাতের প্রহসনে ৩হাজার ভোটে পরাজিত করেন পতিত স্বৈরাচারী সরকার ও তার সহযোগী এমপি। শুধু তাই নয় সাইফুর রহমান রানা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নিপীড়ন, নির্যাতিত ও একাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবুও তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে ন্যায়ের পথে সংগ্রাম করে বিএনপি'র সকল নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে তাদের সু-সংগঠিত করতে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।


বিএনপি নেতা আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মোমেন, প্রভাষক আল আমিন, আব্দুল আজিজ বাদল ও আনিসুর রহমান তোলা ব্যাপারী,বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে আছি। জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে কুড়িগ্রাম ১ আসনে সাইফুর রহমান রানা তথা ধানের শীষ জনগণের ভোটে জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।


স্থানীয় ভোটার মাইদুল ইসলাম, মজনু মিয়া, আবুল হোসেন ও আব্দুল করিম বলেন, সাধারণ মানুষ এখন ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে দেশ স্বাধীনের পর পরিবর্তনের পক্ষে। কুড়িগ্রাম ১ আসনের জনগণের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা কখনো পূরণ হয়নি। বরং কুড়িগ্রাম ১ আসন জড়িয়েছে দুর্নীতির বেড়াজালে। এবার তরুণ প্রজন্মের ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক। নির্বাচনে ধানের শীষ কে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করতে প্রস্তুত আমরা।


কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-কচাকাটা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকায় গনসংযোগ চলছে। আমার সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা যা বাস্তবায়িত হলে কুড়িগ্রাম ১ আসন হবে নদী ভাঙন মুক্ত, কৃষিবান্ধব, শিক্ষাবান্ধব, কর্মসংস্থান ও মাদকমুক্ত। কুড়িগ্রামে ১ আসনের বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আহ্বান আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে এবং সরকার গঠনে কাজ করতে হবে। জনগণের ভালোবাসা ও আস্থাই মূলশক্তি। আমি এই জনপদের সন্তান হিসেবে সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।