Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন (প্রাক্তন সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার) এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ অক্টোবর সাঁথিয়া শিক্ষা অফিসে তদন্তে এসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকও কয়েক দিবস তদন্ত করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জোড়গাছা ইউনাইটেড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সাবেক সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিনের যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎমুলক কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।গত ২১ জুলাই বিল নং ৩৫১,টোকেন নং-০০০০২১৫৮,তারিখ-২৪ জুলাই,এ্যাডভাইস নং০০৩৭১৬৪ ডিপিএড এর বকেয়া বিলের নামে ভুয়া বিল ভাইচার করে শিক্ষক নজরুল ইসলামের অনুকুলে তার ব্যাংক হিসাব নং-১৭৫০২, রুপালী ব্যাংক সাঁথিয়া শাখায় ৭ লাখ ২ হাজার ৭শ’ চুয়াত্তর টাকার একটি বিল প্রদান করেছেন। নজরুল ইসলাম ২০০১ সালে সিএনএড সমাপ্তকারী একজন শিক্ষক। বিগত ৫ বছর যাবৎ শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন একইভাবে বিভিন্ন বিলের নামে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষকদের দাবী গত ৫ বছরে শিক্ষক নজরুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলেই এসব প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারী তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেলালুদ্দিনকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।সাঁথিয়ার কর্মস্থল ত্যাগের আগে একাধিক অভিযোগকারী শিক্ষককে মিথ্যা বিভাগীয় মামলায় ফাঁসিয়েছেন তিনি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন।এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষকদের দুইটি গ্রুপের নেতাদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে ।
শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাঁথিয়াতে আসবো মাথা উঁচু করে কিন্তু সেখানে আমাকে আসতে হচ্ছে দুর্নীতি দায় মাথায় নিয়ে । কিন্তূ দুর্নীতির এসব বিষয় আমি কিছুই জানি