Advertisement
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে শাশুড়ীর হাতে বুলবুলি বেগম নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
চার দিন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও স্বামীসহ শশুড় বাড়ীর কোন লোকজন ঐ গৃহবধূর খোঁজ খবর নেয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা তেলীপাড়া গ্রামে।
অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, বাগডোকরা তেলীপাড়া গ্রামের ময়নুল হকের ছেলে আমিন হোসেনের সাথে দীর্ঘ একযুগ আগে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ডোমার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড পূর্ব চিকনমাটি সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল ইসলামের মেয়ে বুলবুলির সাথে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোলজুড়ে ২টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
গত ৩ বছর ধরে সংসারে সামান্য বিষয় নিয়ে গৃহবধূ বুলবুলির সাথে কারণে অকারণে স্বামী ও শাশুড়ী মিলে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। সন্তান ২টির কথা চিন্তা করে বুলবুলি বেগম নিরবে সকল অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন মুখবুঝে সহ্য করে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ৯ই অক্টোবর বিকেলে তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে বুলবুলি বেগমকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে বুলবুলির অবস্থা বেগতিক দেখে তারা বাড়ির পাশ্ববর্তী রেললাইনের ধারে গৃহবধূকে ফেলে রেখে চলে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই ঘন্টা যাবত অচেতন অবস্থায় বুলবুলি রেল লাইনের ধারে পড়ে ছিল। এরপরে আমরা তার বাবা মাকে খবর দেই, তারা এসে বুলবুলির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করায়। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের ফলে বুলবুলি বেগম বর্তমানে তার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।
ঘটনার বিষয়ে বুলবুলির শাশুড়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি তার পুত্রবধূকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় বুলবুলির পিতা বুলবুল ইসলাম বাদী হয়ে বুলবুলির স্বামী, শশুড়, শাশুড়ীর বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


