Advertisement
মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছে ৮নং ডোমার সদর ইউনিয়নের ছোটরাউতা দাসপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র জাহাঙ্গীরের পরিবার
সোমবার ২৭শে অক্টোবর সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ছোটরাউতা দাসপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের এক পাঁ অচল হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে অস্বচ্ছলতার মাঝে দিনাতিপাত করছেন, তার পরিবারে রয়েছে তিন তিনটি সন্তান। এই তিন সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর আলম অস্বচ্ছলতার কারণে তার স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের ঠিকমতো খাবার খেতে দিতে পারতেন না। পরিবারের এহেন অবস্থা তাকে প্রতিনিয়ত কুঁড়ে কুঁড়ে নিঃশ্বেস করে দিচ্ছে। এরই মাঝে তিনি তার স্কুল পড়ুয়া দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের দ্বারস্থ হওয়ায় বিষয়টি শিশু সুরক্ষা সমাজ কর্মি আসমাউল হাসানের দৃষ্টি গোচর হয়।
পড়ে একসময় তিনি ঐ শিশুটির পরিবারের তথ্য নিয়ে জানতে পারেন যে শিশুটির পিতা জাহাঙ্গীর আলমের এক পা অচল এবং ভিক্ষাবৃত্তিকে মূল পেশা বেছে নিয়ে কোন রকমে তার সংসার পরিচালনা করে আসছেন। পরবর্তীতে তিনি জাহাঙ্গীরের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাসিক কেস কনফারেন্সি সভায় উপস্থাপন করেন।
এরপর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ফিরোজুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর তিনি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের আওতায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাইদ তন্বীর উপস্থিতিতে কেসটি নীলফামারী জেলা শিশু কল্যান বোর্ডে রেফার করেন।
এরপর উক্ত বিষয়টি নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামানের দৃষ্টি গোচর হলে উক্ত সভায় আলোচনা সাপেক্ষে হতদরিদ্র জাহাঙ্গীর আলমকে হরেক মালের ব্যবসা করার জন্য জেলা পরিষদের তহবিল হতে ১৫ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। এবং পরবর্তীতে হতদরিদ্র জাহাঙ্গীর আলম সেই টাকা দিয়ে হরেক মালের ব্যবসা করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন।
এবিষয়ে হতদরিদ্র জাহাঙ্গীর আলম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় যে অর্থটুকু আমি পেয়েছি সেই অর্থ দিয়ে আমি হরেকমালের বহুমুখী ব্যবসা শুরু করেছি বর্তমানে আমি আমার সন্তানের লেখা পড়ার খরচসহ পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে পেরে আনন্দিত। পরিশেষে তিনি উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


