lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Last Updated 2025-09-16T06:23:20Z
ব্রেকিং নিউজ

ভূরুঙ্গামারীর গোপালপুর প্রাইমারির শিক্ষক রোকসানা আকতারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

ভূরুঙ্গামারীর গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রোকসানা আকতারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।


লিখিত অভিযোগ ও সরজমিনে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে স্কুলে যথাসময়ে পাঠদানে শিক্ষার উন্নতি ঘটছে। অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা বেগম প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত উপস্থিতির বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার কে বিদ্যালয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পরামর্শক্রমে সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার গত ১০আগস্ট ২৫খ্রিঃ ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। শিক্ষা অফিসের সহাকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোবাশ্বের আলী ও আবুল কালাম আজাদ গত ১৮আগস্ট ২৫খ্রিঃ।অভিযোগ তদন্ত করে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রেরণ করে। অপরদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জেসমিন আরা বেগমের ও তার স্বামী আজিজুল হক মষড়যন্ত্র করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোকসানা আকতারের স্বামী জয়মনিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মজিবর রহমান কে হেনস্থা করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। রোকসানা আকতারের দাবি ষড়যন্ত্র করে তার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ এবং সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক জেসমিন আরা বেগমের স্বামী আজিজুল হক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের বিরুদ্ধে ও আমাকে ও আমার স্বামীকে হেনস্থা করার লক্ষ্যে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির আশ্রয় নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ১৪সেপ্টেম্বর ২৫খ্রিঃ আহবায়ক ও সদস্য সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিএনপি'র দলীয় প্যাডে একটি অভিযোগ দাখিল করে। সুষ্ঠ তদন্ত করে জেসমিন আরা বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছি।


গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীনা খাতুন, তসলিমা আখতার, আছমা খাতুন, কল্পনা খাতুন, রাশেদা ইয়াসমিন, সাহানাজ সুলতানা বলেন, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা বেগম প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত উপস্থিতি এবং শিক্ষার মান ক্ষুন্ন করছে। পাশাপাশি সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার কে বিদ্যালয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছেন। রোকসানা আকতার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করায় তাকে হয়রানি করার পাঁয়তারা করছেন।


গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা বেগম প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত উপস্থিতি এবং দীর্ঘদিন থেকে সহকারী শিক্ষক রোকসানা আকতার কে বিদ্যালয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছেন। রোকসানা আকতার বিচার চেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগটির নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছে।


জয়মনিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদরে জাহান বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আর এক শিক্ষার্থীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষক মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালানোর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।


অভিযোগকারী রোকসানা আকতার বলেন, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা বেগম বিদ্যালয় শিক্ষার মান ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে আমাকে প্রকাশ্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করায় আমাকে এবং আমার স্বামীকে হয়রানি, মান-সম্মান ক্ষুন্ন ও ক্ষতি সাধনে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছেন। বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ করে হয়রানি করছেন। 


সহকারী শিক্ষক জেসমিন আরা বেগম বলেন, আমাকে সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও মানসিকভাবে হেয়পতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।


সহাকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোবাশ্বের আলী বলেন, গত ১৮আগস্ট বিদ্যালয়ে অভিযোগ তদন্ত করে কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার কে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকতারুজ্জামান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে এবং প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন,তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুনরায় সেটি সংশোধন করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।