Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ :
চাঁদাবাজি নয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সাগর আউয়াল লালু। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য ও ভুক্তভোগী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ' র বক্তব্য অনুযায়ী সাগর আউয়াল লালু 'র বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সত্যতা পাওয়া যায় নি। অথচ গত ৩০শে জুলাই তেবাড়িয়া বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে সাগর আউয়াল লালু কে ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদ থেকে বহিস্কার করে চিঠি দেয় সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন খান (পিপিএম) যদিও এককভাবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার সদস্য সচিবের নেই।
তেবাড়িয়া বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার সাথে লালু ভাই এর অতি ভালো সম্পর্ক। তিনি কখনো আমার কাছে চাঁদাদাবি করেন নি। ২০২৪ সালের ০৫ আগস্টের পুর্বে আমার এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহ সকল দলের নেতাকর্মীরা বসতো।যেকারণে আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির কিছু লোকজন আমার দোকান বন্ধ করে দেয়। এটাকে ইস্যু বানিয়ে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন খান লালু ভাই বহিষ্কার করেছে, এটা উচিত হয় নি। তিনি আরও বলেন, মূলত সালাউদ্দিন খানের গ্রুপে রাজনীতি না করার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি।
ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, লালু ভাই দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে আছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করেন, কোন একক নেতার গোলামি করেন না।সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সালাউদ্দিন খান তাকে বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে। তার এই সিদ্ধান্ত না মানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কোন রকম কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে লালু কে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি বহিষ্কারাদেশে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুন নাহার খানম মিরু'র কোন স্বাক্ষর নেই।
এবিষয়ে ভূলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব সাগর আউয়াল লালু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা বিএনপিকে রক্ষা করুন। কেননা সালাউদ্দিন খানের মত লোকজন বিএনপি ভাঙ্গার মিশনে নেমেছে।