lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
Last Updated 2025-08-08T12:36:36Z
ব্রেকিং নিউজ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সাইফুর রহমান রানার

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রানাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজের জবাবে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।


গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পাঠানো এক লিখিত জবাবে তিনি শোকজের কারণকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 

লিখিত জবাবে সাইফুর রহমান রানা উল্লেখ করেন, ১৯৯৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজের বাড়ি থেকে বিনা ভাড়ায় বিএনপির উপজেলা ও জেলা অফিস পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিটি গঠনের পর তার বাসা থেকে অফিস ও সাইনবোর্ড সরিয়ে নেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে তার বিরুদ্ধে শোকজ করা এবং ভিডিও ভাইরাল করে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা দলীয় গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন তিনি।

 

জবাবে তিনি আরও অভিযোগ করেন, নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম রসূল রাজা প্রকাশ্যে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেও দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যত্যয় বলেও দাবি করেন রানা। সেই সঙ্গে পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিনের দাওয়াতের নাটক সাজানোর অভিযোগও করেন তিনি।

 

শোকজের জবাবের চিঠিতে সাইফুর রহমান রানা অভিযোগ করেন, নাগেশ্বরী পৌর ও উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি ফ্যাসিস্ট সহযোগী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর অনীহা থাকায় তারা পৃথকভাবে শোভাযাত্রা করে এবং তাকে প্রধান অতিথি করে আয়োজন সম্পন্ন করে। বিষয়টি দলীয় গ্রুপিং বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

 

চিঠির সঙ্গে রানা ফ্যাসিস্ট সহযোগীদের ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্থিরচিত্র এবং হুমকির ভিডিও সংবলিত একটি পেনড্রাইভও সংযুক্ত করেছেন। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছেও।

 

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল ঘোষিত নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির জন্য নির্ধারিত অফিস থাকলেও রানা তার পুরনো বাসভবনে দলের অফিস সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

 

দলীয় অঙ্গনে এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে একে বিএনপির অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের ফল বললেও রানা সমর্থকরা বিষয়টিকে প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করছেন।


জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রানা তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাসায় উপজেলা বিএনপির অফিস কিংবা সাইনবোর্ড নেই। দলের যখন দুর্দিন ছিল কোথাও অফিস ছিল না তখন আমি আমার বাসায় উপজেলা বিএনপির কার্যকম পরিচালনার সুযোগ দিই। এখন নতুন কমিটি হয়েছে, তারা অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপজেলা বিএনপির কোনো গ্রুপিংয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ৫ আগস্ট পৃথক অনুষ্ঠানের যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। উপজেলা বিএনপি পৃথক একটি সভা-সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপজেলা ছাত্রদল এবং যুবদল পৃথক অনুষ্ঠান আয়োজন করে আমাকে আমন্ত্রণ করে। অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। এ অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।