lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
Last Updated 2025-06-01T06:20:47Z
জাতীয়

সোনাহাট স্থলবন্দরে পোশাক আমদানি বন্ধ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাকসহ একাধিক পণ্যের আমদানি কার্যত ৫মে থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা হতাশ এবং ভারত থেকে পাথর রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখছেন না। এ সুযোগে রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় নানা অনিয়মের মাঝে রাজস্ব ফাঁকির মহোউৎসবের অভিযোগ উঠেছে।


জানা গেছে, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতন হলেও সোনাহাট স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে থেমে নেই রাজস্ব ফাঁকি। এদিকে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পোশাক, তুলা, প্লাস্টিক, মেলামাইন, আসবাবপত্র, জুস, কোমল পানীয়, বেকারি ও প্রসেসড ফুড পণ্য আমদানিতে কঠোর বিধিনিষেধ (গত ৫মে) জারি করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাকসহ একাধিক পণ্যের আমদানি বন্ধ ফলে ব্যবসায়ীরা হতাশ এবং ভারত থেকে পাথর রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখছেন না। এ সুযোগে রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহফুজ আনামের মাধ্যমে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় চলছে নানা অনিয়মের মাঝে রাজস্ব ফাঁকির মহোউৎসব। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের নিমিত্তে সোনাহাট স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কাছে রাজস্ব বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে তিনি দীর্ঘদিন যাবত তথ্য না দিয়ে টালবাহনা করাসহ তথ্য অধিকার আইনে তথ্য নিতে বলেন এবং পরবর্তীতে বলেন তথ্য দেয়া যাবে না। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহফুজ আনাম বলেন কুড়িগ্রামের নামি-দামি সকল সংবাদদাতাদের মাসিক মাসোয়ারা দেয়া হয়। আপনাকে কোন তথ্য দেয়া যাবে না। যা পারেন লিখেন।


কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ২০১২সালের ১৭নভেম্বর থেকে চালু হয় সোনাহাট স্থলবন্দর। এ বন্দর থেকে ২০১৪সালের ২৮এপ্রিল আমদানি রপ্তানি শুরু হলে ভারত থেকে পাথর, কয়লা সহ ২১টি পণ্য ও ভুটানের সুতা এবং আলু ব্যতীত উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াজাত সকল পণ্যই অনুমোদিত রয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সকল পণ্যই রপ্তানির জন্য অনুমোদিত রয়েছে। এর মধ্যেই রপ্তানি হয়ে আসছে শুধু পাথর। (গত ৫মে) থেকে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পোশাক, তুলা, প্লাস্টিক, মেলামাইন, আসবাবপত্র, জুস, কোমল পানীয়, বেকারি ও প্রসেসড ফুড পণ্য আমদানি বন্ধ। রাজস্ব কর্মকর্তার অনিয়মে এ বন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।


সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পাথরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আর বাংলাদেশে পাথরের দাম কমেমে। যে টাকা লাভ আসে সে টাকা রাজস্ব আর বোনাস দিতে শেষ। আমরা দিন দিন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।


সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহফুজ আনাম বলেন, রাজস্ব কর্মকর্তা বলেছেন আপনাকে কোন তথ্য এখনই দেয়া যাবে না।


সোনাহাট স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, তথ্য দেয়ার জন্য বসে আছি। তথ্য নিয়ে যান। পরবর্তীতে বলেন, তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন পরে তথ্য দেবো। আরও বলেন, আমি কাস্টমস রংপুর বিভাগের কমিশনার স্যারের একান্ত ব্যক্তি। তিনি আমাকে সোনাহাট স্থলবন্দরে পোস্টিং দিয়েছেন। লেখেন বেশি বেশি লেখেন।


কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেন। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।