lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Last Updated 2025-05-13T16:36:48Z
ব্রেকিং নিউজ

ঠাকুরগাঁওয়ে পান চাষে কৃষক খলিল'র ভাগ্য বদল

Advertisement


 


মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় কৃষিভিত্তিক জীবনে নতুন এক সাফল্যের গল্প যোগ করেছেন খলিল নামে এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি একজন প্রান্তিক কৃষক, তবে শখের বশে মাত্র ২ শতাংস জমিতে পান চাষ করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার এই সীমিত পরিসরের উদ্যোগ শুধু সফলই হয়নি, বরং ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়ি বাড়ি গ্রামে খলিলের এই ব্যতিক্রমী পান চাষ নজর কেড়েছে স্থানীয়দের। সাধারণত এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক পান চাষের প্রচলন তেমন না থাকলেও, খলিলের আগ্রহ এবং পরিচর্যায় তার ছোট্ট পান বরজ এখন সবুজে ভরে উঠেছে। বাঁশের কঞ্চি আর লতানো পান গাছের মনোরম দৃশ্য তার জমিতে দিয়েছে এক ভিন্ন রূপ। সরেজমিনে খলিলের পান বরজে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত যত্ন সহকারে তিনি প্রতিটি পান গাছ পরিচর্যা করছেন। স্থানীয় জাতের উন্নত পানের চারা ব্যবহার করেছেন তিনি। নিয়মিত সার দেয়া, প্রয়োজনীয় জলসেচ এবং আগাছা পরিষ্কারে তিনি কোনো ত্রুটি রাখেনি। তার এই আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ অল্প জমিতেও পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খলিল জানায়, মূলত ভালো লাগা থেকেই তিনি পান চাষ শুরু করেছিলেন। প্রথমে অনেকেই তার এই শখকে তেমন গুরুত্ব দেননি। তবে যখন তার বরজে সবুজ পাতা ভরে ওঠে এবং ভালো ফলন পাওয়া যায়, তখন অনেকেই অবাক হন।

তিনি বলেন, নিজের হাতে লাগানো গাছের পান পাতা দেখতে এবং এর সুগন্ধ নিতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে ফলন এত ভালো হয়েছে যে, কিছু পাতা স্থানীয় বাজারে বিক্রিও করতে পারছি। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও খলিলের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তারা বলছেন, সীমিত জমিতেও যে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব, খলিলের পান চাষ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার এই সাফল্য অন্যদেরকেও শখের বশে হলেও পান চাষে উৎসাহিত করতে পারে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসিরুল আলম জানান, খলিলের এই শখের পান চাষ শুধু তার ব্যক্তিগত আনন্দ আর সাফল্যের গল্প নয়, এটি গ্রামীণ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনারও ইঙ্গিত দেয়। ছোট পরিসরে ব্যতিক্রমী ফসল ফলিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার যে সুযোগ রয়েছে, খলিলের উদ্যোগ তা প্রমাণ করে। কৃষি বিভাগ সর্বদা সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাবে, তার এই সাফল্যগাঁথা নিঃসন্দেহে ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যান্য কৃষকদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।