lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Last Updated 2025-05-16T13:25:11Z
আইন ও অপরাধ

আমতলীতে বাসের সাইট দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত -৪, বাস ভাঙচুর

Advertisement


 

এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:

আমতলীতে শিক্ষার্থীদের বহন করা শ্যামলী পরিবহন ও বিসমিল্লাহ মিনি বাসের সাইট দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছে। এতে শ্যামলী পরিবহন বাসের যাত্রী ড্যাফোডিল বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ও বিসমিল্লাহ পরিবহনের হেল্পার ও সুপার ভাইজার আহত হয়েছে। উত্তেজিত স্থানীয় জনতা শ্যামলী পরিবহনের বাস ভাংচুর করেছে। আহত ছাত্ররা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বিসমিল্লাহ গাড়ীর হেলপার ফয়সাল ও সুপার ভাইজার বিকাশ ধুপিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ শ্যামলী পরিবহনের বাস দুটি তাদের হেফাজতে নিয়েছেন।  ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরগুনার আমতলী চৌরাস্তায় শুক্রবার দুপুরে।


জানাগেছে, বরিশাল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী এবং তিন শিক্ষক রোভার স্কাউটের প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার দুইটি শ্যামলী পরিবহন গাড়ীতে কুয়াকাটা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী চৌরাস্তায় জ্যাম পড়ে। ওই জ্যামের মধ্যে ছিল বিসমিল্লাহ মিনি বাস। শ্যামলী পরিবহন গাড়ীর হেল্পার বিসমিল্লাহ বাসের চালককে সাইট দিতে বলে। এ নিয়ে দুই গাড়ীর হেল্পারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শ্যামলী পরিবহনের হেল্পারকে বিসমিল্লাহ বাসের হেল্পার ধাক্কায় দেয়। এ জের ধরে শ্যামলী পরিবহনের শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে বিসমিল্লাহ বাসের হেল্পার সালমানকে মারধর করে। এতে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীরা গাড়ীতে ওঠে যায়। এমন সময় উত্তেজিত জনতা শ্যামলী পরিবহনের বাসটির ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও নৌ-বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ শ্যামলী পরিবহনের বাস দুটি তাদের হেফাজতে নেয়। আহত দুই শিক্ষার্থী ও হেল্পার সালমান, সুপার ভাইজার বিকাশ ধুপিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে দুই শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত বাস হেল্পারকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। 


বিসমিল্লাহ বাসের সুপার ভাইজার বিকাশ ধুপী বলেন, শ্যামলী পরিবহন বাসের হেল্পার এসে আমার গাড়ীকে সাইট দিতে বলে। কিন্তু জ্যাম থাকার কারনে সাইট দিতে পারিনি না। এমন সময় শ্যামলী পরিবহন বাসের হেল্পার আর আমার বাসের হেল্পারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শ্যামলী পরিবহন বাসের যাত্রী শিক্ষার্থীরা আমার বাসের হেল্পাকে বেধরক মারধর করে। আমি তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলেও আমাকে মারধর করে। এমন অবস্থা দেখে স্থানীয় জনতা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো বলেন, আমার বাসের হেল্পার সালমানের এখন পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র বলেন, ভুলটা আমাদেরই হয়েছে। আমাদের সাথের কিছু সহপাঠী ওই গাড়ী হেল্পারকে না মারলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তারা আরো বলেন, স্থানীয় জনতা আমাদের দুই জনকে মারধর এবং গাড়ী ভাংচুর করেছে।


আমতলী থানার এসআই জলিলুর রহমান বলেন, সাইট দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী ও বিসমিল্লাহ বাসের হেল্পারের মধ্যে মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। 


বরগুনা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক মোঃ হাসান মৃধা বলেন, বিসমিল্লাহ বাসের গাড়ীর হেল্পার ও সুপার ভাইজারকে মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, ছাত্ররা বিসমিল্লাহ বাসের হেল্পার ও সুপার ভাইজারকে মারধর না করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। 


আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে শ্যামলী পরিবহনের বাস দুটি থানা হেফাজতে আনা হয়। কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, তবে তারা কোন পক্ষই আইনগত প্রতিকার নিতে আগ্রহী ছিলেন না। এজন্য বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।