বুধবার 21 মে 2025

lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Last Updated 2025-04-20T02:54:00Z
ব্রেকিং নিউজ

রাজশাহী চিড়িয়াখানা পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত



নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী চিড়িয়াখানায়  বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে  চিড়িয়াখানায় পূনরায় বাঘ, ভাল্লুক, সিংহসহ সকল প্রকার পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পূর্ণবাসনের দাবি তুলেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন  দ্রুত সকল পশু পাখি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিবেন, তা না হলে আমরা রাজশাহীবাসী কঠোর আন্দোলনে যাব বলে হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে উপস্থিত সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। 

এসময় মানববন্ধনে সাবেক কাউন্সিলর ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান বাধন ও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাক, রাজপাড়া থানা বিএনপি'র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ভূইয়াসহ রাজশাহীর সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭২ সালে কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী চিড়িয়াখানার । প্রায় ৩৩ একর জমিতে নির্মিত উদ্যানটি ১৯৯৬ সালে জেলা পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চিড়িয়াখানায় এক সময় বাঘ, সিংহসহ অনেক পশুপাখি ছিল। ১৯৯৭ সালের জুনে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৬ বছর ৪ মাস বয়সের একটি বাঘ আনা হয়। নাম দেওয়া হয় সম্রাট। আগে চিড়িয়াখানায় একটি সিংহ ও একটি সিংহী ছিল।   এখন সেই খাঁচাও নেই। চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা ছিল। ভালুকের জন্য ছিল একসঙ্গে যুক্ত দুটি নতুন খাঁচা।  বানর, গাধা ও হরিণের জন্য নতুন খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল। এখন শুধু হরিণের খাঁচা আছে কিন্তু হরিণ নাই। বলতে গেলে চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে, নেই কোনো পশু পাখি। 

মানববন্ধনে দেখে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা একজন আগন্তুক বলেন, আগে এসে যে মজা পেয়েছিলাম, এখন আর সেটি নেই, যা দেখছি সব আর্টিফিশিয়াল। সঙ্গে বাচ্চারা এসেছে। ওরা বাঘ, ভালুক, বানরসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখতে চায়। কিন্তু সেসব নেই। শিশুদের মানসিক বিকাশে বইয়ে বিভিন্ন পশুপাখির ছবি দেওয়া হয়। শিশুরা চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাস্তবে সেই পশুপাখি দেখে বেশি আনন্দ পায়। মানসিক বিকাশের জন্য এটা খুবই জরুরি। কিন্তু এখন যা করা হলো, তা কংক্রিটের। চিড়িয়াখানার অর্থই পালটে গেছে।  গত তিন বছরে নীরবে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর পুনরুদ্ধার চাই।