Advertisement
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পোরশা সরকারি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান শাহ্ কাওছার কামাল চৌধুরী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই প্রতিবছর হজ্ব কাফেলা পরিচালনা করে আসছেন। সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দলীয় দাপট দেখিয়ে সরকারি কলেজে চাকুরির পাশাপাশি এ কাফেলার প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। কাফেলা বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকায় প্রতিবছর কলেজ থেকে ছুটি না নিয়েই হজ্বযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবে যান তিনি। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পোরশা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আরও জানা গেছে, কাওছার কামাল চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে আমদা ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এজেন্সির সাথে জড়িত । প্রতিবছর হাজি সংগ্রহ ও তাদের হজ্ব করাতে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া-আসার প্রতিনিধি হিসেবে চাকুরীর পাশাপাশি সব কাজ করেন তিনি। নিয়মানুসারে হজ করতে গেলে প্রায় দেড় মাস সেখানে অবস্থান করতে হয়। ছুটি ছাড়াই তিনি প্রতিবছর দেড় মাস কলেজের বাইরে থাকেন কি ভাবে এমনটায় প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।
গ্রন্থাগার আনোয়ারুল হকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি ছুটি নিয়ে আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কিভাবে গেছেন আমি সে বিষয়ে কিছু জানিনা। সহকর্মী হিসাবে আমি যদিও একা কাজ করতে কষ্ট হয় তারপরও তো আমার বলার অধিকার নাই এটা একান্ত অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিষয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চল এর পরিচালক প্রফেসর মোহাঃ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, নৈমিত্তিক ছুটি অধ্যক্ষ দিতে পারেন আর যদি দেশের বাইরে যেতে হয় তাহলে তাকে শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা থেকে সরকারি আদেশে নিয়ে যেতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে তাকে ছুটির দরখাস্ত অনুমোদন সাপেক্ষে যেতে পারবে। তিনি অধিদপ্তর থেকে ছুটি নিয়েছেন কিনা আমার জানা নাই অথবা অধ্যক্ষের কাছ থেকে নিয়েছে কিনা তাও আমার জানা নাই।
শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা উপ-পরিচালক কলেজ ১ মোঃ নুরুল হক শিকদারের কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
পোরশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মালেকা পারভিন বলেন, মে মাসের ২৭-২৮ ও জুনের ১ও ২ তারিখ তিনি আমার কাছে ছুটি নিয়েছেন আর কিছু আমি জানিনা।
মেসেঞ্জারে কাউসার কামালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বলেন আমি হজে আছি হজ শেষ করে আমি বিস্তারিত কথা বলব।
আর এসব সম্ভব হচ্ছে তার দলীয় দাপটে এমনটাই অভিযোগ তার ছোট্ট সুফি কামাল চৌধুরীর, তিনি আরও বলেন, তার বড় ভাই ১২ বছর ধরে হজ্ব কাফেলার সাথে যুক্ত আছেন। তিনি প্রতি বছর ছুটি ছাড়াই এভাবে হজে যান। এবছর তিনি গত ২৮তারিখ কাফেলা নিয়ে চলে গেছেন। আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের ম্যানেজ করে হজে যেতেন।
একজন সরকারি চাকরিজীবী নিজের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি এতগুলো কাজ কিভাবে করেন এমনটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।