Advertisement
এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:
একটি মিথ্যা গাছকাটা মামলার বাদী মাসুম তালুকদারকে বিকেল পাচটা পর্যন্ত হাজতবাস এবং আসামী মোঃ ইফতেখায়রুল রাসেল ও নৈশ প্রহরী রাজু তালুকদারকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ রাকিবুল হাসান বৃস্পতিবার এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে এক একর জমি দান করেন নাদের তালুকদার ও তার সহযোগীরা। ওই জমির মধ্যে থেকে বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ ৬৫ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ ইফতেখায়রুল রাসেল অবশিষ্ট জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এতে ক্ষুব্ধ হন জমি দাতারা। এ ঘটনায় মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক রাসেল ও নৈশ প্রহরী রাজু তালুকদারকে আসামী করে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা গাছকাটা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার এ মামলায় আসামী শিক্ষক রাসেল ও রাজু আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানী শেষে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদী মাসুম তালুকদারকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাজত বাসে থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুই আসামীকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। বিচারকের এমন ঘটনার আদালত প্রাঙ্গণে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আসামী পক্ষের আইনজীবি সৈয়দ—নুহু—উল আলম নবীন বলেন, মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় বিচারক মামলার বাদীতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাজতবাসে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুই আসামীকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।