Advertisement
সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা বাসীর অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার পর এবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন চালু হলো। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক গর্ভবতী নারীর সিজার করা হয়। যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটাই প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন। তাই এর মধ্য দিয়ে সিজারিয়ান অপারেশনের আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করলো আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
পঞ্চগড় জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী ওই অপারেশনের নেতৃত্ব দেন। তিনিই সর্ব প্রথম আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন করে রেকর্ড গড়লেন। এসময় কালের সাক্ষী হতে অপারেশন থিয়েটারে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ অফিসার ডা. মোঃ হুমায়ুন কবির সহ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের এনেস্থিসিয়া কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিত কুমার বর্মন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. নাহিদ সিদ্দিকা উপস্থিত ছিলেন।
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান সেকশনে সর্ব প্রথম জন্ম নেওয়া ওই শিশু'র মায়ে'র নাম মোছাঃ সূচনা বেগম (১৮)। তিনি উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ডুংডুংগি গ্রামের নূর-ইসলামের স্ত্রী।
এনিয়ে সিভিল সার্জন জানান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটাই আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্ব প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন। আমরা চেষ্টা করব নিয়মিতই এখানে সিজারিয়ান অপারেশন করার। বর্তমানে জনবল কিছুটা কম থাকায় সপ্তাহে যেকোনো একদিন আমরা সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ঠিক করব। সপ্তাহে বুধবার সিজারিয়ান অপারেশন করার একটি সম্ভাব্য সময় সূচী করা হয় কিন্তু যেকোনো কারনে মিস হলে বৃহস্পতিবার করার কথা জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আমাদের একজন গাইনী কনসালটেন্ট আছেন। তিনিই নিয়মিত সিজারিয়ান রোগীদের দেখাশোনা করবেন। আর জনবল বৃদ্ধি হলে নিয়মিতই সিজারিয়ান অপারেশন এখানে করা হবে।
ডা. মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। এটিই উপজেলা লক্ষাধীক মানুষের একমাত্র একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা গ্রহন করে৷ আমাদের উপজেলাটি প্রত্যন্ত গ্রাম। তাই অনেক মানুষই গরিব। বাইরে দূরে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থও নেই অনেকের। আমাদের সেবাটাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং গর্ভবতী নারীদের বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করতেই আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হলো সিজারিয়ান অপারেশন। সিভিল সার্জন স্যারের নেতৃত্বে এই অপারেশনটি পরিচালনা করা হয়৷ এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমে, সময় এবং আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে বলে জানান তিনি৷
আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনে পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়া সূচনা বেগম বলেন, আমি অনেক খুশি হয়েছি৷ ডাক্তাররা আমাকে খুব ভালো ভাবে যত্নসহকারে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়৷ আমার কোন রকম সমস্যা হয়নি। আমি এখন সুস্থ এবং ভালো আছি। এখানে এসে অন্যান্যদের সিজারিয়ান অপারেশন করার আহবান জানান তিনি।