Advertisement
এই মামলা এমপির দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে - কামাল হোসেন মিয়া, চেয়ারম্যান আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনা -২ আসনের সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আহমেদ ফিরোজ কবির এমপির বিরুদ্ধে তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে ও ভাগ্নে সহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, এমপি সাহেব দেউলিয়া হয়ে এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন, ইনশাল্লাহ আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন বাসী যথাসময়ে জবাব দিবে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১৪ই জুলাই বোয়ালিয়া মাঠে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার সময় মনিরুজ্জামান মনি (৩২) এর উপর পুর্ব শত্রুতার জেরে বোয়ালিয়া গ্রামের বারেক এফ রহমানের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র সহ হামলা করে। এসময় তারা মনিরুজ্জামান মনির কে কিল,ঘুঁষি, হাতুড়ী পেটা ও দাঁ দ্বাড়া মাথায় কোপ দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা কে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে, ভাগ্নে সহ আমিনপুর থানা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মারধর,ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন দিদারুল ইসলাম সবুজ।
নাম প্রকাশ না শর্তে সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির এমপির একনিষ্ঠ কর্মী ও আহাম্মাদপুর ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, প্রকৃত পক্ষে প্রচার-মাইক ভাঙ্গচুর, মারধর ও ছিনতাই এর ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো। তবে গ্রুপিং টিকিয়ে রাখতে গেলে পাল্টা মামলার বিকল্প নেই।আমরা যেহেতু এমপির লোক তাই এমপির সিদ্ধান্তই আমাদের শেষ কথা।
এই মামলা বিষয়ে আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আহাম্মাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া ও তার অনুসারীরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে এখন দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়াচ্ছেন। তারা বলেন, মামলা, হামলা ও নির্যাতন করে আওয়ামিলীগের মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। আর যদি মনোনয়ন পান তাহলে আহাম্মাদপুরের মাটিতে ভোট করতে আসতে হবে।
সংসদ সদস্য কে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, আওয়ামীলীগ কে মেরে নিজের বলয় ( এমপি লীগ) প্রতিষ্ঠা করতে চান, আপনার সে আশা কখনো পুরন হবে না। আমিনপুরের আওয়ামিলীগ আপনাকে প্রতিহত করবে। সেই সাথে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে মানববন্ধন, ও প্রতিবাদ মিছিল সহ কঠোর আন্দোলনের হুসিয়ারী দেন তারা।