lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫
Last Updated 2025-08-06T14:13:34Z
রাজনীতি

শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেড কোয়ার্টার: এম নাসের রহমান

Advertisement



ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার: 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে একটা গুন্ডা পার্টি, একটা মাস্তান পার্টি দেশের জনগণ এটা  বুঝেছে। কেমন করে বুঝেছে, চৌদ্দশ মানুষ মরার পর আর বিশ হাজার মানুষ আহত হওয়ার পর এ দেশের মানুষ বুঝেছে আওয়ামী লীগ একটা গুন্ডা-মাস্তান পার্টি। আর তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ছিল গুন্ডাদের হেড কোয়ার্টার। ৭৭ বছরের গুন্ডি এখন দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছে। আজকে সে দিল্লিতে লুকিয়ে আছে। একটা বছর দেখতে দেখতে স্বৈরাচারী হাসিনার এক বছর পলায়নের দিন উদযাপন করছি আমরা।  তার সাড়ে পনের বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হয়েছে একটা দল। সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য শেখ হাসিনা কম চেষ্টা করে নাই। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করেছে হত্যা করেছে, জেলে ভরেছে। আল্লাহর বিচার, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে করে দিয়েছে তাকে।’ তিনি বুধবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের এসআর প্লাজার সামনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও ছাত্র-জনতার বিজয় উৎসবের শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসের রহমান আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতা এবং পেছনে বিএনপির সক্রিয় ভুমিকায় এই স্বৈরাচারীনিকে আমরা বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছি। আজকে সে পলায়ন পর যে দেশ থেকে আসছিল সে দেশে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শেখ হাসিনা কিছুই না, সে ভারতের দালাল, ভারতের চর। ভারতের দালাল হিসেবে সাড়ে পনেরো বছর এদেশে রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল সে। এ ধরনের রাম রাজত্বের সুযোগ শেখ হাসিনাতো দূরে থাক তার প্রেত্ত¥াদেরও কোনদিন সে সুযোগ দেয়া হবে না। এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ইনশাআল্লাহ আমরা ধীরে ধীরে শেষ করে দিব। আজকে আওয়ামী লীগের মৌলভীবাজারেরর এই চার খলিফা কোথায়?  নিজেরা বসে বসে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর সভার চেয়ারম্যান, নিজেরা বসে বসে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছে। যে যেমনে চায় নিজে নিজে হতে চায়। কারন দেশটাতো তাদের বাপের সম্পত্তি মনে করেছিল।  দেশটা যে বাপের সম্পত্তি না, জনগণের দেশ এটা বাংলাদেশের জনগণ গতবছর বুঝিয়ে দিয়েছে। আজকের বর্ষপূর্তিতে স্বৈরাচারীনিকে সরানোর জন্য যে চৌদ্দশ মানুষ যেভাবে মারা গেছে এরমধ্যে ১৩৩টি শিশুবাচ্চাসহ বিশ থেকে পঁচিশ হাজার লোক আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে আমাদের নেতা তারেক রহমান বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, আগামী ফেব্রæয়ারিতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদের আরও বেশি সহযোগীতা করা হবে।’

জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আলহাজ আব্দুল মুকিত প্রমুখ।

এর আগে বিকেল ৩টায় আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টির মাঝেও শোভাযাত্রায় খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে অংশ নিতে জেলার ৭টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা, জেলা যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, মৎস্যজীবী দলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী  তাদের ব্যানার, ফেস্টুনসহ  অংশ নেন। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বেশ কয়েকটি ভ্যান গাড়ীতে শোভা পায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবং এম নাসের রহমানের ছবি সস্বলিত বিশাল বিলবোর্ড। আনন্দ শোভাযাত্রাকে হাজার হাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটে।