Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
পাবনার সাঁথিয়ায় ভুয়া বিল ভাউচার, শিক্ষক হয়রানি ও মারপিটের প্রতিবাদে ও শিক্ষা কর্মকর্তা হেলালের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার তিন শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। শিক্ষকদের দূর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জোরগাছা ইউনাইটেড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিনের সহযোগিতায় বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎমুলক কাজের সাথে জড়িত।
২১ জুলাই বিল নং ৩৫১,টোকেন নং-০০০০২১৫৮,তারিখ-২৪ জুলাই,এ্যাডভাইস নং ০০৩৭১৬৪ ডিপিএড এর বকেয়া বিলের নামে ভুয়া বিল ভাইচার করে শিক্ষক নজরুল ইসলামের অনুকুলে তার ব্যাংক হিসাব নং-১৭৫০২, রুপালী ব্যাংক সাঁথিয়া শাখায় ৭ লাখ ২ হাজার ৭ শত চুয়াত্তর টাকার একটি বিল প্রদান করেছেন। নজরুল ইসলাম ২০০১ সালে সিএনএড সমাপ্তকারী একজন শিক্ষক।
বিগত ৫ বছর যাবৎ শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন একইভাবে বিভিন্ন বিলের নামে কোটি কোটি সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষকদের দাবী গত ৫ বছরের শিক্ষক নজরুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলেই সব প্রমাণ পাওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেলালু উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া বিল ভাউচারে সরকারী তহবিলের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেলালুদ্দিনকে নাটোরে বড়াইগ্রামে বদলী আদেশের পরেও তিনি সাঁথিয়ার কর্মস্থল ত্যাগ না করে একাধিক অভিযোগকারী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বানোয়াট অভিযোগে মিথ্যা বিভাগীয় মামলায় ফাঁসিয়েছেন। প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি অনুসারীদের দিয়ে অভিযোগকারীদের অফিস কক্ষে মারপিটও করিয়েছেন হেলাল উদ্দিন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
এ সময় সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশ নেন। পরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানিনা।