Advertisement
মোছাঃ আছমা আক্তার আখি, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় দেবিগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের তেলিপাড়া নামক স্থানে করতোয়া নদীর তীর ভাঙ্গন ঠেকাতে ক্লাইপার স্টার এগ্রিকালচার ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এর শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাথর বালি সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিসি ব্লক।
পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সিসি ব্লকের কাজটি শুরু হয় (৬ই মে ২০২৪) এবং কাজটি শেষ হওয়ার কথা ৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ।
কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ সিসি ব্লক এর কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। এমনটি অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায় সিসি ব্লক নির্মাণের স্থানে কোন বিলবোর্ড নেই।
এবং সিসি ব্লক নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ভ্যারাইটিজ পাথর, এছাড়াও সিসি ব্লক নির্মাণ মিস্ত্রিদের ভাষায়, জানা যায় সিসি ব্লক নির্মাণে ১০ ফেরা পাথর, ৯ ফেরা বালু ও এক বস্তা আমান কোম্পানির সিমেন্ট দিয়ে নদী ভাঙ্গন ঠেকানো সিসি ব্লক তৈরি করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষ দোষিরা বলছেন এসব সিসি ব্লক তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের ভ্যারাইটিজ পাথর ও নিম্নমানের বালি। আবার কত সময় তারা নিয়মের বাইরে পাথর বালি সিমেন্ট দিয়েও ব্লক তৈরি করছে।
এছাড়াও নদীর কূলে সিসি ব্লক বসানোর কাজেও রয়েছে অনিয়ম, নিম্নমানের ইটের খোয়া ও ব্লক বসানোর অনিয়ম, যেমন ব্লক বসানো হয়েছে প্রায় এক ইঞ্চি ফাঁক রেখে এই ফাঁক দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে ব্লক সরে বাধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আউটসোসিং কর্মকর্তা আবু সাঈদ ব্লক তৈরির স্থানে থাকলেও নিজের পরিচয় গোপন করে। একপর্যায়ে তার পরিচয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রকাশ পায়। আবু সাঈদের কাছে জানতে চাইলে সে এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে। এবং সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন বলেন আউটসোর্সিং কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টি আমরা দেখছি। সে সাথে আমাদের সিসি ব্লক তৈরির পূর্বে পাথর বালু সিমেন্ট বুয়েট টেস্ট করা হয়। আমাদের কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখেই আমরা কাজ বাস্তবায়ন করছি। এবং সাংবাদিকদের কাজের শিডিউল দেওয়ার কোন নিয়ম নেই বলে জানান।