Advertisement
বরগুনা প্রতিবেদক:
আমতলী উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট ও স্যালাইন মজুদ আছে। তারপরও কীট ও স্যালাইনের চাহিদা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার।
জানাগেছে, গত এক মাস ধরে বরগুনা পৌরসভায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও ব্যতিক্রম ছিল আমতলী উপজেলা। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় ৫ জন ডেঙ্গু রোগী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে সাতজন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার আমতলী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জায়েদ (৫), দক্ষিণ আমতলী গ্রামের আল আমিন গাজী (৩৫), বুধবার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের খলিল প্যাদা (৪৫), আয়লা পাতাকাটা গ্রামের বিধান (৬০), পৌরসভার বুশরা (১১), কালীবাড়ী গ্রামের সারামনি (১৫) ও বৃহৎস্পতিবার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের ফরিদা (৩০) ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সাতজন রোগীর মধ্যে একজন বরগুনার সদর উপজেলার, একজন তালতলী উপজেলার, তিনজন আমতলী পৌরসভার ও দুইজন আমতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের। সাতজন রোগীর মধ্যে তিনজনই শিশু। হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আমতলী পৌর শহরের আল আমিন গাজী ও কচুপাত্রা গ্রামের রোগী খলিল প্যাদা বলেন, শরীরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পরে পরীক্ষা করে দেখি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছি। তারা আরো বলেন, হাসপাতালে কিছু ট্যাবলেট ছাড়া আর কিছুই দেয় না। অনেক ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সকলেই ভালো আছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, এ পর্যন্ত ৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। তারপরও কীট ও স্যালাইন চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন না হলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাবে না।