Advertisement
এইচ এম রাসেল, বরগুনা:
আমতলী সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে গ্রাহক মোঃ শাহজাহান বিশ্বাসের এক লাখ ৯৫ হাজার ৫’শ টাকা চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোর সনাক্ত করতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে।
জানাগেছে,আমতলী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের চার দলিল লেখকের মহুরী মোঃ শাহজাহান বিশ্বাস পে-অর্ডার কাটতে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে আমতলী সোনালী ব্যাংক শাখায় যান। ওই খানে গিয়ে তিনি টেবিলের ওপর টাকা রেখে চালান লিখছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি তার টাকার বান্ডিল খুজে পাচ্ছে না। পরে তিনি ব্যাংক ম্যানেজারকে অবহিত করেন। ম্যানেজার তাৎক্ষনিক আমতলী থানা পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু ততক্ষণে ততক্ষনে চোর সটকে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট। তাই চোর সনাক্ত করতে পারেনি। এতে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভাগী শাহজাহান বিশ্বাস বলেন, আমি গত ৩০ বছর ধরে দলিল লেখক নাশির, শাহজাহান চৌধুরী, পাশা সিকদার ও ইসমাইল হাওলাদারের মহুরী হিসেবে কাজ করে আসছি। বুধবার দুপুরে ব্যাংকের টেবিলের ওপর এক লাখ ৯৫ হাজার ৫’শ টাকার বান্ডিল রেখে আমি পে-অর্ডারের চালান লিখছিলাম, কিছুক্ষণ পর দেখি আমার টাকার বান্ডিল নেই। পরে ম্যানেজারকে জানালাম। কিন্তু ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট তাই ম্যানেজার চোর সনাক্ত পারেনি। তিনি আরো বলেন, এভাবে গ্রাহকদের টাকা বেশ কয়েকবার চুরি হয়েছে কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। আমি গবীর মানুষ কিভাবে এতো টাকা পরিশোধ করবো। দ্রুত টাকা উদ্ধারের দাবী জানান তিনি।
আমতলী সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার জুলকার বিন খালেক বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়েছে। ওই ক্যামেরা বরগুনা মেরামত করতে পাঠিয়েছি। সিসি ক্যামেরা থাকলে ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করা যেত।
আমতলী থানায় ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোর সনাক্ত করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, দ্রুত চোর সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।