শুক্রবার 16 মে 2025

lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
Last Updated 2025-03-19T16:26:02Z
সংবাদ সম্মেলন

মাদারগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধে পৌর সচিবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  


Advertisement
মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি :

জামালপুরের মাদারগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধে পৌরসভার সচিব মোঃ জুলহাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইপি টেলিভিশন ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভিত্তিহীন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলা চত্বরের একটি রেস্টুরেন্টে ভোক্তভোগী পৌর সচিব জুলহাস উদ্দিন এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,সংবাদে অভিযোগকারী মমিনুর ইসলামের পিতাঃ আঃ হক, চাচা আঃ রফিক ও ফুফু লুৎফা খাতুন। মমিনুরের ফুফু লুৎফা খাতুন ১০/০৪/১৯৮৬ইং সালে দলিল নং ৯৩১৯ নালিশি ভূমি সহ ৫২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন এবং ১৪/১২/১৯৯৩ইং সালে দলিল নং ৪৪৩৭ নালিশি ভূমি সহ ৮২শতাংশ জমি বিক্রি করেন। লুৎফা খাতুন মোট ১৩৪ শতাংশ জমি বিক্রি করে নিস্বত্ববান হন। তারপর ১৯৯৪ সালে মমিনুরের পিতা আঃ হক ও চাচা আঃ রফিক ১৩৯০ দলিলে আমার পিতা মৃত মফিজ উদ্দিন, চাচা ইদ্রিস ও আবু বক্করের নিকট উক্ত নালিশি জমি বিক্রি করেন এবং জমি বুঝিয়ে দেন। আমরা জমি খারিজ সম্পন্ন করে দাখিলা প্রদান করিতেছি। সেই জমিটি ৩০-৩৫ ফুট গভীরতা থাকায়  মজা পুকুরের পাড় দিয়ে পিছনের তিনটি পরিবার চলাচল করত। কিন্তু মজা পুকুর টি চার বছর পূর্বে ভরাট করলে পিছনের তিনটি পরিবারই আলাদা আলাদা তিনটি রাস্তা দাবী করেন। তখন গোষ্ঠীগত প্রতিবেশী গ্রামবাসী সকলেই পরামর্শ করে  পিছনের তিন পরিবারের চলাচলের জন্য উক্ত ১৪ শতাংশ জমির মাঝ বরাবর একটি ৬ ফুট প্রসস্থ রাস্তা প্রদানের সম্মতি দেওয়ার পরেও অভিযোগকারী মমিনুর ওই রাস্তা মানতে অসম্মতি জানায়। এমন সময় এলাকার ১/২ জন কুচক্রী মহলের পরামর্শে নিঃশত্ববান লুৎফা খাতুনের সন্তানের নিকট হতে খারিজ ব্যতীত সাব-রেজিষ্টার অফিসে যোগসাজস করে উক্ত নালিশি জমি মমিনুর ২৭/০২/২০২৩ইং তারিখে পুনরায় ক্রয় করেন। জমি ক্রয় করে আমাদের পূর্বের খারিজ করা জমিটি মমিনুর খারিজ বাতিলের জন্য আবেদন করলে সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে মমিনুরের আবেদন বাতিল করেন। পরবর্তীতে মমিনুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপিলের আবেদন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দপ্তরে দীর্ঘ নয় মাস শুনানীর পর মমিনুরের আবেদন না মঞ্জুর করেন।   অভিযোগকারী দাবি করেছেন ৫০টি পরিবার উক্ত রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উল্লেখিত রাস্তাটি দিয়ে তিনটি পরিবার চলাচল করে। তিনটি পরিবারের জন্য ৬ফুট প্রশস্ত রাস্তা এখনো বিদ্যমান আছে। তাছাড়া দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশ্বে শরীকদের চলাচলের জন্য পৃথক পৃথক রাস্তা বিদ্যমান আছে।  আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির সীমানা সঠিক রাখার জন্য আমি বাউন্ডারীওয়াল নির্মান করেছি।  এ ছাড়াও ওই জমিতে ১৯৯৪ সাল থেকেই স্থাপনা নির্মান করা আছে। অভিযোগকারী মমিনুর এবং এলাকার দুই একজন দালালের কু-পরামর্শে এমন মিথ্যা অপপ্রচার করছে। তাই আমি উক্ত মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।