Advertisement
এম এইচ শাহীন: পদ্মা- মেঘনার দুর্ধর্ষ জলদস্যু কানা জহিরের সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ,গুলি , বোমাবাজি ,ডাকাতি , অপহরণ মুক্তিপণ সহ নানান অবৈধ কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ চাঁদপুর- মুন্সিগঞ্জ বাসী। শত অভিযোগ থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিকিও ছুঁতে পারেনি জলদস্যু কানা জহিরের ছোয়া মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুরের দুর্ধর্ষ জলদস্যু কানা জহিরের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণ, নৌ ডাকাতি ,গুলি বোমাবাজি, মুক্তিপণ সহ নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার জনগণ। উক্ত জলদস্যুর হাত থেকে বাঁচতে চায় চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলাবাসী । বিভিন্ন সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানা গেছে দুর্ধর্ষ জলদস্যু ডাকাত কানা জহির প্রতিদিন পদ্মা মেঘনা নদীতে সশস্ত্র অবস্থায় তার দলবল নিয়ে দিনের বেলা প্রকাশ্য ডাকাতি, অপহরণ, মুক্তিপণ , গুলি , বোমাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করেই চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ডাকাত জহির কে গ্রেপ্তার না করায় দিন দিন বেড়েই চলছে তার দৌড়ত্ব। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জনগণের প্রশ্ন ডাকাত কানা জহিরের খুঁটির যোগ কোথায় ? শত অভিযোগ থাকার পরেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মুন্সিগঞ্জ- চাঁদপুর পদ্মা -মেঘনা নদীর জলদস্য্য ডাকাত কানা জহিরের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রশাসনের প্রতি জনগণের ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলছে। এদিকে আরো জানা গেছে গত ১৯শে ডিসেম্বর২০২৪ দিবাগত রাতে জলদস্যু কানা জহির চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনপুর এলাকায় তার দলবল দিয়ে ডাকাতের প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুরের নৌ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড অভিযান চালায় ঔএলাকায় এই সময় ডাকাত জহিরের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয় একপর্যায়ে জলদস্যু কানা জহির পুলিশের আক্রমণে টিকতে না পেরে অস্ত্র , স্পিডবোট এবং গোলা বারুদ রেখে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পলায়ন করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কানা জহিরের,ব্যবহৃত স্পিডবোট , স্পিড বোর্ড থেকে কাটা বন্দুক, দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার রেশ না কাটতেই পরের দিন সকালে ডাকাত কানা জহির তার দলবল নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার বাংলাবাজার ঘাট থেকে জনৈক এক ব্যবসায়ীর স্পিডবোট ছিনতাই করে নিয়ে যায় ।এই ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত ঐ ব্যবসায়ীর স্পিড বোর্ড উদ্ধার করতে পারেনি। সূত্রে আরও জানা গেছে আজ ২১ ডিসেম্বর সকালে বকচর এলাকায় ইজারাকৃত বালু মহলে এসে চাঁদা দাবি করে জলদস্য কানা জহির। মাটি কাটার ড্রেজারে থাকা লোকজন জলদস্যু কানা জহিরকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নদীতে থাকা তিনটি ডেজারে জলদস্যু কানা জহির তার দলবল নিয়ে আক্রমণ করে আগুন ধরিয়ে দেয় এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এতকিছু করার পরও জলদস্যু কানা জহিরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের আওতায় আনতে না পারায় চাঁদপুর- মুন্সিগঞ্জ সহ আশপাশের এলাকার জনগণের মাঝে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিয়ে নানান সন্দেহের ডানা বেধেছে। সূত্রে আরো জানা গেছে মুন্সিগঞ্জ- চাঁদপুর মতলব সহ দেশের বিভিন্ন থানায় জলদস্যু কানা জহিরের বিরুদ্ধে খুন , ধর্ষণ ,সন্ত্রাস ,চাঁদাবাজি ,ডাকাতি অপহরণ , মুক্তিপণ,জ্বালাও পোড়াও সহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত করার কর্মকান্ডের অভিযোগে প্রায় দুই(২) ডজনের বেশি মামলা রয়েছে । এই ব্যাপারে এলাকাবাসী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও নৌপথে নির্বিঘ্নে চলার নিরাপত্তা দিতে অবিলম্বে দুর্ধর্ষ জলদস্যু কানা জহির কে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল ।