lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-28T10:20:12Z
কৃষি

পোরশার ঘরে ঘরে নতুন ধানে নবান্নের উৎসব

Advertisement


 


ইসমাইল হোসেন, পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশা  উৎসবমুখর পরিবেশে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকরা। ঘরে ঘরে বইছে  নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি। ২০বছর আগে এই বরেন্দ্র অঞ্চলে বছরে একবার ফসল উৎপাদিত হত ধান। সে কারনে উপজেলার  মানুষ আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে অভাবের মাস বলতেন। কিন্তু এঅভাব আর নেই। এ মাটিতে এখন ধানসহ আম, সরিষা, ড্রাগন, মালটা ও মাসকলাই জন্মে। অভাবের এ দুই মাস শেষ হয়ে এখন অগ্রহায়ণ মাস চলছে। কষ্টের ফসল ধান বাড়িতে উঠতে শুরু করেছে, তাই কৃষকরা যেন শত অভাবের মাঝেও সুখের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন। এখন প্রতিটি কৃষক ও গৃহস্থের বাড়িতে চলছে নবান্ন উৎসব উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি। তাদের মুখে ফুটেছে উজ্জ্বল হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে পোরশা উপজেলার ৬ ইউনিয়নে আম চাষে কিছু জমি কমে গেলেও ১৫ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে চাষ হয় ১৫ হাজার ২৯০ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ১৬৮ টন। 

এদিকে সোনালি ফসল আমন ধানকে ঘিরে নানান স্বপ্ন বাস্তবায়নের জাল বুনেছেন কৃষকরা। কেউ কেউ নতুন ধানের চালের  ক্ষীর ও আটার ভাপা পিঠা খাওয়ায় ব্যস্ত। কেউবা আবার করছেন রকমারি পিঠা-পুলি আর সুস্বাধু পায়েশ। সর্বোপরি এ উপজেলার  গ্রামের প্রতি গৃহস্থের বাড়িতে এখন রোপা আমন ধানকে ঘিরে চলছে নানান সুস্বাদু খাবার নিয়ে নবান্নের উৎসব।

এবছর  আবহাওয়া প্রতিকুল থাকায়  ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। ধান ঘরে তুলেছে এমন কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা  গেছে, এ বছর প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) জমিতে ১৭-২০ মণ করে ধানের ফলন হচ্ছে। আবার  কিছু জমিতে ২২-২৪ মণ পর্যন্ত ধানের ফলন আশা করছেন কৃষকরা। 

মঙ্গলবার উপজেলার গাংগুরিয়া হাটে  প্রতি মণ স্বর্ণা জাতের ধান বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ব্রিধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

 মিছিরা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন, আতাউর রহমান ও পলাশবাড়ি গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বলেন এ বছর ধানের ফলন যেমন ভালো, তেমনি ধানের দামও ভালো রয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনুর রশীদ জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় চলতি মৌসুমে ধান চাষে তেমন বাড়তি খরচ করতে হয়নি কৃষকদের। এ বছর ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। অন্যদিকে দামও বেশ ভালো রয়েছে। কৃষকরা লাভবান হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।