lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪
Last Updated 2024-07-01T05:14:42Z
সারাদেশ

জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পোল্টি খামার;দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী - BD Prokash

Advertisement

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ 


পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে জনবসতিপূর্ন এলাকায় সিনহা পোল্টি খামার নামে একটি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগরের বাসিন্দা আরজ আলী সরদার। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলা ওই পোল্ট্রি খামারের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে আশেপাশের  বসতবাড়ি গুলোতে বসবাস করতে পারছেন না স্থানীয়রা। অন্যদিকে খামারের নিকটবর্তী ১০ থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে মসজিদ থাকায় তীব্র দুর্গন্ধের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে সেখানে নামাজ আদায় করতে আসা অর্ধশত মুসল্লিরা। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী ইপিজেড সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা তাদের ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। 



এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান (জিয়া)। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া) , জেলা কার্যালয় (পাবনা), উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি), ঈশ্বরদী থানা, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‍‍্যাব(১২) বরাবর অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। 



এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে রবিবার বিকালে ওই পোল্টি খামার পরিদর্শন করেছে পরিবেশ  অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার কর্মকর্তারা।  পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার পরিদর্শক আব্দুল মমিন জানান, প্রাথমিকভাবে ওই পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দ্রুতই ওই পোল্ট্রি খামারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 



তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত ওই পোল্টি খামারের মালিক আরজ আলী সরদার। স্থানীয়দের দাবি, জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকা থেকে অতি দ্রুত অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত এই পোল্ট্রি খামার স্থানান্তর করা হোক।