lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
Last Updated 2024-06-30T04:22:05Z
আইন ও অপরাধ

তালতলীতে টেংরাগিরি বনের কেওড়া গাছ উদ্ধার, অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ - BD Prokash

Advertisement

 

বরগুনা প্রতিনিধি:


বরগুনার তালতলীতে একটি বাড়ির পেছনের খাল থেক টেংরাগিরি বনের ৪ টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করা হয়।



স্থানীয় বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জেলে মো. বেল্লাল কোনো অনুমতি ছাড়াই সরকারি সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনের গাছগুলো কেটে নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে বন বিভাগ কেটে ফেলা ৪ পিস কেওরা গাছ উদ্ধার করে।



সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত মো. বেল্লালের বাড়ির পাশে একটি খালে ফেলে রেখেছে দুটি গাছ ও দুটি গাছ কেটে সাইজ করছে এ সময় বন বিভাগের লোকজনকে ওই গাছ উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহিদের কাছে গাছ গুলো জিম্মা দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।



স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন বলেন, বেলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় টেংরাগিরি বনের বড় বড় চারটি কেওড়া গাছ কেটে সাইজ করছে। পরে বিষয়টা স্থানীয় বন বিভাগের কাছে বললে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। আমরা স্থানীয় লোকজন বিষয়টা দেখেছি। এভাবে বনের গাছ কাটলে শীঘ্রই  উজার হয়ে যাবে টেংরাগিরি বনের গাছ।



নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জাহিদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বনের চার পিস গাছ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন আমার কাছে গাছগুলো জিম্মা দিয়েছে। বনের গাছ কাটা একটি অপরাধ বন বিভাগের লোকজনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বেল্লাল একজন জেলে মাছ ধরার ফাঁকে ফাঁকে সে বনের গাছ লুটপাট করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি সব জায়গা থেকে ছুটে যান। এছাড়া স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে দিন দিন বনের গাছ লুটপাট হচ্ছে।



অভিযুক্ত মো. বেল্লাল সাংবাদিকদের কোন সাক্ষাৎকার দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সাথে উচ্চবাচ্য করেন এবং সাংবাদিকদের দেখিয়ে দেওয়ার জন্য বন কর্মকর্তাদের সামনেই বারবার তেরে আসেন।



এ বিষয় নিশানবাড়ীয়া বিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ৪ পিস বনের কেওড়া গাছ উদ্ধার করা হয়। প্রকৃত আসামিকে পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুতই মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।