lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
Last Updated 2024-04-24T12:43:39Z
আইন ও অপরাধ

অন্তরঙ্গ ভিডিও নিয়ে প্রতারণা, সাবেক স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন - BD Prokash

Advertisement

 

জহিরুল ইসলাম,যশোর প্রতিনিধি


বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যশোরে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।



বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে যশোর সদর উপজেলার মঠবাড়ী গ্রামে বুকভরা বাঁওড়ের পাড় থেকে শাড়ি পরা ঐ নারীর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।



এদিকে লাশের পাশ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। ফোনের সূত্র ধরে নিহত নারীর পরিচয় ও অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।



নিহত খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া কৃষ্ণনগর গ্রামের আজগর আলী সরদারের মেয়ে। বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মিতু কর্মকার নাম রাখেন তিনি।



আটক মৃন্ময় ভদ্র যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের মদন কুমার ভদ্রের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দামোদরকাঠি গ্রামে বসবাস করেন।



হত্যার রহস্য উদঘাটন করে বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপণ কুমার সরকার। এ সময় তিনি জানান, খাজিদার জীবনযাপন উচ্ছৃঙ্খল। সে নিয়মিত মাদকসেবন করতো। সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় মাদক মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে তার নামে। খাদিজা বছর দুয়েক আগে একটি হিন্দুধর্মের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মুসলিম থেকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে সে খাদিজা থেকে মিতু কর্মকার হয়। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে সেই সংসারে বিচ্ছেদ হয়। 



এরপর সাতক্ষীরাতে একটি নাচের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের মৃন্ময় ভন্দ্রের সঙ্গে। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা বিবাহ করে। বছর খানিক আগে মিতু ও মৃন্ময়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকাকালীন মিতু ও মৃন্ময়ের মধ্যে অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতো মিতু। নানা সময়ে প্রতারিত হয়ে মৃন্ময় মঙ্গলবার সাতক্ষীরা থেকে মিতুকে নিয়ে যশোরের বুকভরা বাঁওড়ে নিয়ে যায়। সেখানে মিতুকে মাদকসেবন করিয়ে রাত ১১টার দিকে মিতুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাঁওড় পাড়ে একটি ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যান। লাশের পাশে পড়ে থাকা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মৃন্ময়কে তার এক চাচার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।