lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
Last Updated 2024-04-28T03:51:12Z
আইন ও অপরাধ

বোনকে মারছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন ভাই - BD Prokash

Advertisement

 

আকন্দ সোহাগ


চাচাতো বোনকে মারছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বোনের চিৎকারে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ভাইকে পিটিয়ে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে বোনের সেনা সদস্য মামা শ্বশুর ও তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে।  এঘটনায় প্রতিবেশী আরও দুইজন আহত হয়েছেন।শনিবার( ২৭ এপ্রিল)  দুপুর ২টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ  উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জয়নাল আকন্দ। তিনি ওই এলাকার মুসলিম আকন্দের ছেলে।  তিনি পেশায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ছিলেন। সরজমিনে নিহতের স্বজন  সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে  নিহত জয়নাল আকন্দের  চাচা খুরু আকন্দের মেয়ে ফুলেরা বেগম  প্রতিবেশী বাড়ী শাবু মিয়ার ছেলে নুর ইসলামকে প্রেমের টানে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শাবু মিয়ার পরিবার তার পুত্রবধু ফুলেরা বেগমকে মেনে নিতে পারেননি।  এ নিয়ে প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। কিছুদিন পর স্বামী নুর ইসলাম প্রবাসে চলে গেলে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তেই থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ  দুপুরে ফুলেরা বেগমের সাথে তাঁর শাশুড়ী নুরজাহানের ঝগড়ার ঝেরে ফুলেরা বেগমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকেন। এমন সময় ফুলেরা বেগমের চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ বোনের বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গেলে ভাইকে দেখে ফুলেরা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে বোনের শাশুড়ি নুরজাহান তার বাবা ও ৩ ভাইকে ফোনে জানালে তারা এসে নিহত জয়নালের উপর হামলা চালায়। ফুলেরা বেগমের সেনা সদস্য মামা শ্বশুর মেহেদী হাসান জয়নালের  মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করলে গুরুহত আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে প্রতিবেশী বাবুল ও আলমগীকেও পিটিয়ে আহত করেন অভিযুক্তরা। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা জয়নাল আকন্দসহ প্রত্যেককে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে জয়নাল আকন্দকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হলে এম্বুল্যান্সে যোগে জামালপুর নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। আহত অন্যান্যদের জামালপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মনজুরুল বারী বলেন, নিহত জয়নাল আকন্দের মাথায় আঘাতের ফলে ভিতরে প্রচন্ড রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।  পাশাপাশি অন্ন দুই জনের হাতে ও বুকে পিঠে আঘাত পাপ্ত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ফুলেরা বেগম অভিযোগ করে বলেন,বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুর শাবু মিয়া, শাশুড়ি নুরজাহান দেবর সাইফুল ও ননদ সাবিনা আমাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। আজ দুপুরে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারতে থাকেন। ওইসময় আমার চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ পুকুরে গোসল করার জন্য আসছিলেন আমি বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে আমার ভাই আমাকে বাঁচাতে  এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে আমার শাশুড়ি নুরজাহান তার বাবা ও ভাইদের ফোন করে জানালে তারা লাঠি সোঠা নিয়ে এসে আমার মামা শ্বশুর মেহেদী হাসান সেনাবাহীনিতে চাকুরি করেন সেই মামা শ্বশুর আমার ভাইকে মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করেন। এরপর আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় আমি দোষীদের শাস্তি চাই। 



এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মাহমুদুল হাসান বলেন,ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।