lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪
Last Updated 2024-01-20T09:10:07Z
আইন ও অপরাধ

নেপথ্যে চুরি: দেহের পর এবার মাথা ও ছুরি উদ্ধার

Advertisement


 

ইউ আর নুরনবী হোসেন রাজ, লালমনিরহাট:-

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ভ্যান চালক মানিকুল ইসলামের দেহের পর এবার মাথা, মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।এর আগে শুক্রবার দুপুরে একই ইউনিয়নের রমনীগঞ্চ থেকে তার মাথা বিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মানিকুল ইসলাম ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের পুত্র বলে জানা গেছে। প্রতিবেশী একজনের ভ‌্যান চুরির অভিযোগ উঠায় কয়েকদিন ধরেই নিখোঁজ মানিকুল ইসলাম। 


এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হয়। শুক্রবার বিকালে ভুট্টা ক্ষেতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মুরদেহ উদ্ধার করেন।


এদিকে শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুড়ি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করেন।


কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মনিকুল হত্যার শিকার হতেও পারেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই চুরির ঘটনায় মনিকুলের সাথে আরও যারা জড়িত ছিলেন তাদের সাথে হয়তো বা কোনো দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তাকে হত‌্যা করা হয়। ইতিমধ্যে চুরি হওয়া ভ্যানও উদ্ধার করেছে সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ।


মনিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ফোন তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তার স্বামী তাকে জানান, রাত ৮ টার মধ‌্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮ টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।


হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মানিকুলের মা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।'