Advertisement
সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে জনগণের তোপের মুখে পড়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফুল কবীর।
গতকাল (১৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ডাংগীর হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষকের মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এসময় চাকরির জন্য আগেই প্রধান শিক্ষককে ৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হাজেরা বেগম নামে এক বৃদ্ধার করুন আকুতি ও মাটিতে লুটিয়ে গড়াগড়ি খাওয়ার দৃশ্যও চোখে পরে।
জানা যায়, ২০০১ সালে ওই বিদ্যালয়ের নামে ৩৭ শতক জমি দান করেন ওই এলাকার গোলাম মোস্তফা। এই জন্য তাকে নৈশ্য প্রহরীর চাকরি দেওয়া এবং ভবিষ্যতে তার পরিবারের কোন সদস্যকে আরো একটি চাকরি দেওয়া হবে মর্মে রেজুলেশন করা হয়।
দীর্ঘ ২২ বছর অতিক্রম হলে গোলাম মোস্তফার পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে চলছি বছরের ১০ অক্টোবর, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া পদে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী দেওয়া হয়। এতে আয়া পদে গোলাম মোস্তফার মেয়ে মোস্তাকিমা বেগমের মা হাজেরা বেগমের কাছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও সহকারি শিক্ষক জব্বার ৮ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ করেছেন গোলাম মোস্তফার পরিবারের লোকজন। তারা আরো বলেন, সকল শিক্ষকে স্বাক্ষী রেখে অফিস কক্ষে ৮ লক্ষ টাকা দেওয়ায় হয়৷ এখন অন্য প্রার্থীর কাছে বেশি টাকা পাওয়ায় আমাদেরকে চাকরি দিতে অস্বীকার করছেন প্রধান শিক্ষক।
অপরদিকে, প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন সব কিছুই উড়িয়ে দিয়ে বললেন, সব কিছুই মিথ্যে এবং বানোয়াট। ওই রেজুলেশন ছিল অবৈধ তাই ওই রেজুলেশন অনুযায়ী কাউকে চাকরি দেওয়া যায়না৷ যে প্রার্থী পরীক্ষায় টিকবে সেই চাকরি পাবে। ৮ লক্ষ টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন৷ তবে পরীক্ষা দুপুর ২ টায় হওয়ায় কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে কোন প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়নি। পরীক্ষার আগের রাতেই মনোনীত প্রার্থীকে প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমরা কোন প্রশ্নপত্র সরবরাহ করিনি, আমরা এখনই প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিব৷
এনিয়ে আটোয়ারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন জটিলতা ও কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। তবে, নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তিনার অফিসে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি।