lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩
Last Updated 2023-07-20T15:38:11Z
আইন ও অপরাধ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ১৫ পরিবার অবরুদ্ধ

Advertisement

আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর-পক্ষিয়া গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ১৫টি পরিবার কে অবরুদ্ধ করায় মহা বিড়ম্বনায় ঐ পরিবারের বাসিন্দারা।  প্রায় ৭/৮ বছর এই রাস্তাটি ব্যবহার হয়ে আসছে। এই রাস্তাটি উক্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি সদস্য উপস্থিত থেকে রাস্তাটি মাটি পেলে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, মাটির তৈরি পুরোনো একটি রাস্তার মাঝখানে সুপারির চারা লাগিয়ে ও নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন সামনের অংশের জমির মালিক শাহে আলম (২৮) ও সোহেল।

ভুক্তভোগী মোঃ বিল্লাল হোসেন (২৮) হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমরা এই জমি কিনেছি আজ থেকে অনেক বছর আগে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করি। অথছো হঠাৎ করে গতকাল থেকে রাস্তার মাঝ খানে গাছ লাগিয়ে ও নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। আমার মত আরো ১৫টি পরিবার এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। 

ভুক্তভোগী ফারুক তালুকদার বলেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মাঝে মধ্যে ডাক্তার খানায় যাওয়া লাগে। কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক ঘুরে যেতে হয়। 

অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা বলার জায়গা নেই। তারা কোন কারন ছাড়াই আমাদের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। অনেক হাত-পা ধরেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ওরা দাবি করছে রাস্তার জায়গা ওদের। রাস্তার ওপর সুপারির চারা লাগিয়ে নেট দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। গাছ দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে। মানুষ মরলে লাশ নিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা নেই। অথচ এই রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মেম্বার থেকে করে দিয়েছে তা তারা মানতে রাজি না। 

ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আরো ৭/৮ বছরের পুরানো রাস্তা এটি। অথচ হঠাৎ করে সোহেল ও নুরে আলম এর ছেলে শাহে আলম এখন রাস্তাটি নিজেদের বলে দাবি করে রাস্তা আটকে দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে হুমকি দিচ্ছেন কেউ রাস্তা দিয়ে গেলে তার পা ভেঙে দেবে। এ কারণে আমরা আশপাশের বিভিন্ন বাগান দিয়ে যাতায়াত করছি। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ১৫টি পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছে।

অবরুদ্ধ এসব পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, এখানের প্রায় সবাই খেটে খাওয়া দিনমজুর। সবাই শান্তিপ্রিয় গরিব মানুষ। যারা রাস্তাটি বন্ধ করেছেন, তারা স্থানীয় প্রভাবশালী। হঠাৎ করে তারা তাদের জমি দাবি করে রাস্তাটি দখল করে নেন। এ কারণে চলাচল করতে পারছি না আমরা। 

পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের ঐ ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ ফারুক হোসেন (৭০) বলেন, আমি মেম্বার থাকা অবস্থায় সাবেক চেয়ারম্যান সাহেব ও আমি থেকে জমির মূল মালিক ও পিছনের জমির মালিক মিলে খরচ দিয়ে এই রাস্তাটি নির্মাণ করেন। এখন আমি গতকাল শুনি এই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রাস্তার জায়গা যদি তাদের ও হয়ে থাকে তাহলে ও তো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে পারে না। যেহেতু জনগণের চলাচলের জন্য তাদের জমির মূল মালিক দিয়েছিল। 

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শাহে আলম ও সোহেল এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কলটি রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।