lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
Last Updated 2023-06-22T07:06:55Z
জেলার সংবাদ

ভোলার ইলিশায় বাবা জসিম সিকদার কর্তৃক মেয়ে অমি'কে বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগ

Advertisement

স্টাফ রিপোর্টার:

ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম সিকদার কর্তৃক অতি উৎসাহী হয়ে তার ১০ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে ইসরাত জাহান অমি'কে বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ।

এলাকাবাসী ও আমাদের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ করে বলেন, ভোলার ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ জসিম সিকদার কর্তৃক মেয়ে ইসরাত জাহান অমিকে বাল্য বিবাহ দিয়েছেন পার্শ্ববর্তী বেপারী বাড়ির মোঃ নুর উদ্দিনের ছেলে মোঃ হাসনাইন আহমেদ এর নিকট। বাবা অতি উৎসাহী হয়ে বিশাল ও অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫ মে ২০২৩ ইং তারিখে বৌ ভাত খাওয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছেন। অথচ ইসরাত জাহান অমি মাত্র ১০ম শ্রেনীতে পড়ে। সে চর ইলিশা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর নিয়মিত একজন ছাত্রী হিসেবে অধ্যায়নরত আছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নূর নবী'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিয়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন এই বিষয়ে কোন অভিভাবক যদি তার মেয়েকে এভাবে বাল্যবিবাহ দিতে থাকে তাহলে বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যার প্রভাবে অদূর ভবিষ্যতে সমাজে বাল্য বিয়ের মতো একটি সামাজিক ব্যাধি চরম আকার ধারণ করবে। এর প্রভাবে সমাজে খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে । তিনি আরো বলেন এ ধরনের বিয়ে কখনোই কাম্য নয়, তারা এই বাল্য বিবাহ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না ।পরবর্তীতে লোক মুখে শুনেছেন। তিনিও চান, এধরনের বাল্যবিবাহ যেন আর না হয় । 

তিনি এধরনের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনিক ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাল্যবিবাহের এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মেয়ের পিতা জসিম সিকদার দাম্ভিকতা দেখিয়ে নানান ধরনের কথা বলে যাচ্ছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে। এতে এলাকার মানুষ বাল্যবিবাহের অপরাধের কারণে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয় অভিযোগে জানা যায় উক্ত জসিম সিকদার কর্তৃক মেয়ে ইসরাত জাহান অমি,র জম্ম নিবন্ধন বয়স বাড়িয়ে কাজী আবদুল হাইকে ফটো কপি দিয়েছেন এবং বিবাহ পড়িয়েছেন।

এই ধরনের জঘন্য অপরাধ ও বাল্যবিবাহের অপরাধের কারণে আর দাম্ভিকতার জন্য এলাকার মানুষ তার বিচার দাবি করছে । বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন সহ সাংবাদিক মহল এঘটনা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন এলাকার সচেতন মহল।    

উল্লেখ্য ভোলা সিভিল সার্জন অফিসে পুষ্টি দিবসের উদ্বোধন ও ভিটামিনের ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকল অভিভাবক সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা বাল্যবিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ানার জন্য নানা ধরনের প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ। জন্মদাতা বাবা কর্তৃক যদি মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেয় তাহলে সেটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য।  ।