lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩
Last Updated 2023-06-21T13:32:49Z
জেলার সংবাদ

নড়াইলে ৩৫ মণের টাইগার বিক্রি হয় নাই বিক্রি করতে চাই মালিক

Advertisement

মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। প্রতি বছর ঈদের আগ মুহূর্তে সারাদেশে নানা আকৃতি ও দামের কারণে আলোচনায় আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার টাইগার।

 ৩৫ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির সাদা-কালো রঙের ‘এই টাইগার’ কিনলে মিলবে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল উপহার, কিন্তু এখন সেটি দিবেন না বলে জানান মালিক ন্যায্য মূল্যে গরুটি বিক্রি করতে চাই তারা। অপপ্রচারে কিছুটা ভোগান্তিতে তারা।

ষাঁড়টির মালিক সেলিনা বেগম উপযুক্ত দাম পেলে টাইগার কে বিক্রি করবেন বলে জানান সেলিনা বেগম লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের চা বিক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলামের স্ত্রী। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালঘরে গাভি, দেড় বছর বয়সী ছোট ষাঁড়ের পাশে অর্ধেক জায়গাজুড়ে রাজকীয় ভাবে গা এলিয়ে জাবর কাটছে টাইগার। 

ষাঁড়ের মালিক সেলিনা সাংবাদিকদের বলেন সন্তানের যেমন নাম রাখে তেমনি আমি তার নাম রেখেছি। সন্তানের মতো পরম যত্নে তাকে তিন বছর ধরে ওকে লালন-পালন করছি। তাকে আমরা কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টা, ভাতসহ দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করেছি। কোনো ক্ষতিকর কিছু তাকে খেতে দেইনি।

সেলিনা বেগম আরো বলেন অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছেন যে টাইগার বিক্রি হয়ে গেছে আসলে টাইগার বিক্রি হয় নাই যারা টাইগারকে কিনতে চান আমাদের মোবাইল  ০১৭২১১৮৩৬২৭ নাম্বারে যোগাযোগ করবেন। 

জানা যায় নড়াইলের টাইগার গরুটি হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের। তার বয়স ৩ বছর ৮ মাস। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৬ ফুট, বুকের বেড় ৯ ফুট ৪ ইঞ্চি, উচ্চতা ৬ ফুট, ওজন প্রায় (লাইভ ওয়েট) ৩৫ মণ। আসন্ন কোরবানির ঈদে তাকে বিক্রির জন্য বাড়িতে রেখেই প্রস্তুত করেছে। 

ষাঁড়টিকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকার খাবার খাওয়াতে হয়।নড়াইল টাইগারের দাম আমরা প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ টাকা চাচ্ছি। তবে ক্রেতার দর-দামের সুযোগ আছে। উপযুক্ত দামে বিক্রি করে দিব। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডাঃ মো আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, সেলিনা বেগমের প্রায় ৩৫ মণ ওজনের নাড়াইলের টাইগার নামক ষাঁড়টি জেলার এবারের সবচেয়ে বড় ষাঁড়। আমাদের তথ্য ও হিসাব মতে এতে শুধু মাংসই হবে প্রায় ২৩ মণ। আমারা খামারিদের নিয়মিত মনিটরিং ও সার্বিক সহায়তা দেওয়ায় খামারে ছোট-বড় গরুর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

 তবে এত বড় গরু জেলায় বিক্রি না হলেও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে সারাদেশের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।