lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
Last Updated 2023-03-27T16:26:19Z
অনিয়ম

ইলিশ জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল না পাওয়ার অভিযোগ

Advertisement

 

মাহতাবুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক:

“মোরা ভোট দেই নাই তাই মোগো চাউলও দেয় নাই” অভিযোগ ইলিশ জেলদের। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঘোপখালী ও বালিয়াতলী গ্রামে ভোট না দেয়ায় ইলিশ ছেলেদের তালিকায় নাম না দিয়ে সরকারের দেয়া ৪০ কেজি চাল থেকে ইলিশ জেলেদের বঞ্চিত করেছেন এক ইউপি সদস্য এই মর্মে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।

জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে সরকার মার্চ ও এপিল মাসে জাটকা ইলিশ শিকার বন্ধে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্ধ দিয়েছেন। প্রতি মাসে জেলেরা ৪০ কেজি করে চাল পাবে। ২৭ মার্চ সোমবার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঘোপখালী ও বালিয়াতলী জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়।

ইউপি সদস্য আব্দল লতিফ মুন্সি প্রকৃত ইলিশ জেলেদের চাল দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জেলে সাইদুর রহমান, মন্নান ফকির ও জলিল মিয়া। চাল না পেয়ে অনেক জেলে খালি হাতে বাড়ী ফিরে গেছেন বলেও জানাগেছে। জেলেদের অভিযোগ ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল লতিফ মুন্সি স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এমন কাজ করেছেন। 

একাধিক জেলের অভিযোগ, ভোট না দেয়ার কারনে ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মুন্সি স্বজনপ্রীতি করে জাটকা জেলে নয় এমন জেলেকে চাল দিয়েছেন। এতে প্রকৃত জেলেরা চাল না পেয়ে ওই ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক জেলে বাড়ী ফিরে গেছেন। জাটকা জেলেদের চাল দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ইউপি সদস্যদের চাল বিতরণের তালিকায় ছিল ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।

জেলে সাইদুর রহমান বলেন, একই পরিবারের একাধিক মানুষ চাল পেয়েছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইলিশ জেলে নয়। ইব্রাহিম ও জসিম নামের দুই ভাই ফেনী থাকেন তারাও চাল পেয়েছেন। কৃষক হাসান ইলিশ জেলে নয় কিন্তু তিনি চাল পেয়েছেন।

মন্নান ফকির বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ মুন্সিকে যারা ভোট দিয়েছেন তিনি তাদের চাল দিয়েছেন। আমরা প্রকৃত ইলিশ জেলে হওয়া সত্তেও ভোট না দেয়ার কারনে তিনি চাল দেয়নি।

জলিল বলেন বলেন, মোয়াজ্জেম, মোজাম্মেল, ইব্রাহিম, জসিম, হাসান, মিলন মিয়া ও রুহুল আমিনকে চাল দেয়া হয়েছে তারা ইলিশ জেলে নয়। তারা অনেকেই ব্যবসায়ী ও কৃষক। মোনসের মিয়া জেলে নয় তার পরিবারে পাঁচজনকে চাল দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য তার এলাকার এমন অনেককে চাল দিয়েছেন।

ইউপি সদস্য আব্দল লতিফ মুন্সি ভোট না দেয়ার কারনে চাল দেয়নি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে জেলে তালিকায় নাম রয়েছে ২৩৫ জনের কিন্তু আমি নাম পেয়েছি মাত্র ১১০ জনের। তাই অনেক জেলে বাদ পরেছেন। তিনি বলেন, যাদের চাল দিয়েছি তারা সবাই জেলে। তবে প্রকৃত ইলিশ জেলে কিনা এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাঃ সোহেলী পারভীন মালা বলেন, প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল দেয়া হয়েছে। তবে তালিকা করেছে ইউপি সদস্যরা। প্রকৃত ইলিশ জেলে আছে কিনা তারাই জানেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, জেলেদের তালিকা করেছেন ইউপি সদস্যরা। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জেলেদের তালিকা অনুসারে চাল বন্টন করেছেন। জেলে ও ইলিশ জেলে এনিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।