lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Last Updated 2023-02-12T02:23:31Z
আইন ও অপরাধ

আমিনপুরে আলোচিত চুরির রহস্য উৎঘাটন অর্থ ও স্বর্ন সহ গ্রেফতার ৫

Advertisement

 

মীর শাহাদাৎ হোসাইন:

পাবনার আমিনপুর থানাধীন শ্যামপুর টাটি এলাকায় আলোচিত চুরির রহস্য উৎঘাটন এবং চোর চক্রের ৫ জন সদস্য চোরাইকৃত অর্থ ও স্বর্ন সহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও আমিনপুর থানা পুলিশ। 

 ঘটনায় গত ০২ ফেব্রুয়ারী আমিনপুর থানাধীন শ্যামপুর টাটিপাড়া গ্রামের মোছাঃ মাহমুদা আক্তার, স্বামী মোঃ সবুস উদ্দিন খান, এর বসত বাড়ীর শয়ন ঘর থেকে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা কৌশলে প্রবেশ করে কাঠের আলমারীর তালা ভেঙ্গে অনুমানিক ২০(বিশ) ভড়ি স্বর্ণ ও নগদ ২৫,০০০০০/-(পঁচিশ লক্ষ) টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। 

উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমিনপুর থানায় একটি চুরি মামলা রজু হয়। যার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৪/০১/২০২৩ইং, ধারা-৩৮০/৪৫৭ পেনাল কোড ১৮৬০। 

সেই ধারাবাহিকতায় পাবনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সী'র নির্দেশে অতিঃ পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে ডিবি পাবনা ও আমিনপুর থানার একটি চৌকশ টিম উক্ত অভিনব কায়দায় চুরি সংগঠনের রহস্য উৎঘাটনের জন্য আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামীদের গ্রেছতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মোঃ সেন্টু  খান (৩৫), পিতা-মোঃ আলিমউদ্দিন খান, সাং-শ্যামপুর টাটি, থানা-আমিনপুর। মোঃ সুজন মিয়া (৩৫), পিতা-মোঃ ওহাব মিয়া, সাং-আহম্মদ পুর উত্তরপাড়া, থানা-আমিনপুর। মোঃ রাতুল খান (১৭), পিতা-মোঃ আলম খান, সাং-দয়ারামপুর, থানা-আমিনপুর।মো: নাহিদ খান (২৫), পিতা- আমজাদ খান, সাং- আমিনপুর এবং মো: রশদ প্রামানিক (রইস্যা) (৫৫), সাং- টাটি পাড়া, আমিনপুর। 

গ্রেফতাকৃত আসামীদের নিকট থেকে উক্ত ঘটনায় চুরি হওয়া নিম্নবর্নিত টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো হলো, নগদ ১৩,৮৪,০০০/-(তের লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা। ০১(এক) ভরি স্বর্ণালংকার। আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ৪ টি।

এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রেফতাকৃত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চুরির ঘটনাটি অভিনব কায়দায় সংগঠন করেছে। ধৃত আসামী মোঃ সেন্টু খান বাদীনির স্বামীর আপন চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সেন্টু খান সহ তার ভাড়াকৃত অপর সহযোগী চোরেরা পরস্পর মিলে রাতের বেলায় ভবনের দেওয়ালে বাঁশের সাহায্যে উপর উঠে এবং বাদীনির শয়ন ঘরের তালা ভেংগে তার ভিতর থাকা কাঠের আলমারী ভেঙ্গে উক্ত চুরি সংগঠন করে। ৫ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনই নিজেকে ঘটনার সাথে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে দ্বোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।